করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডেই কিশোরীকে 'ধর্ষণ', গ্রেফতার পটনা মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত, ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি ওই কিশোরী
পটনা: রক্ষকই যখন ভক্ষক! হাসপাতালের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের মধ্যেই ধর্ষণের শিকার কিশোরী। জঘন্য এই ঘটনাটি ঘটেছে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্ত হাসপাতালেরই নিরাপত্তারক্ষী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের হয়েছে মামলা।
পুলিশ জানিয়েছে, জ্বর-মাথাব্যথা সহ করোনা সংক্রমণের কিছু উপসর্গ নিয়ে গত ৮ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই কিশোরী। শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় তাকে রাখা হয় আইসোলেশন ওয়ার্ডে। অভিযোগ, ওই রাতেই একা পেয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় মহেশ প্রসাদ নামে হাসপাতালেই কর্মরত এক নিরাপত্তারক্ষী।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি ওই কিশোরী। পরে, বুধবার বাড়ির লোককে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলে, গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানানো হয় কিশোরীর পরিবারের তরফে। এরপর পুলিশের কাছেও এফআইআর-ও দায়ের করে পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী গত তিনমাস ধরে হাসপাতালে কর্মর ছিল। একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার তরফে তাকে হাসপাতালে ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিহার রাজ্য মহিলা কমিশনের সভাপতি দিলমণি মিশ্র জানান, মেয়েটির মেডিক্যাল রিপোর্ট ২-৩ দিনের মধ্যে চলে আসবে। ঘটনাটিকে অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। যদিও, নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছে অভিযুক্ত। সে বলে, আমি কোনও অন্যায় করিনি। পুলিশ আমার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওরা আমার কল রেকর্ড সহ যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করতে পারে। আমি কাউকে ধর্ষণ করিনি।