Supreme Court : কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করছে মোদি সরকার ? বিরোধীদের আবেদনে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট ?
Central Agencies : সক্রিয়তা বেড়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছেই...
নয়া দিল্লি : এক আধবার নয় বা দুই-একটা রাজ্যে নয়। কমবেশি বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের মোদি সরকারের (Modi Government) বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে (Central Agencies) অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। এবার তা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও সেই আবেদন গ্রহণ নিয়ে মামলকারীদের আইনজীবীর দেওয়া যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন দেশের প্রধান বিচারপতি। অগত্যা আবেদন প্রত্যাহার করে নেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
১৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল একযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় । তাদের অভিযোগ, মোদি সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করছে। বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এই মর্মে তারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন জানান। তাতে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআইয়ের মামলা রুজুর হার বিশাল সংখ্যায় বেড়ে গেছে ।
সিংভি এই মর্মে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তাতে দেখানো হয়েছে, আগের তুলনায় ইডির তরফে গত সাত বছরে ৬ গুণ বেশি মামলা রুজু করেছে ইডি। তাঁর আরও অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ মামলা রয়েছে ইডি ও সিবিআইয়ের। যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং নিরপেক্ষহীনতা।
যদিও সিংভির এই আবেদনের ন্যায্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি সিংভির কাছে জানতে চান, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জন্য তদন্তে অব্যাহতি চাইছেন কি না বা নাগরিক হিসাবে এনিয়ে তাঁদের বিশেষ কোনও অধিকার আছে কি না। তখন সিংভি বলেন, তিনি বিরোধী নেতাদের জন্য কোনও অব্যাহতি চাইছেন না। তিনি শুধু চাইছেন, আইনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ হোক। তাঁর বক্তব্য, বিরোধীদের দুর্বল করতে কেন্দ্র তার সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে।
যদিও সিংভির যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা রাজনীতিকদের আবেদন। অন্য নাগরিকদের কোনও অধিকার বা স্বার্থ নেই। যাঁরা দুর্নীতি বা অপরাধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের জন্য কোনও গাইডলাইন দিতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট। তাই , এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ আদালতে নিয়ে আসা উচিত। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এও বলেন যে, সংশ্লিষ্ট ইস্যুটি সংসদে তোলা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আবেদন প্রত্যাহার করে নেন সিংভি। তবে তিনি এও বলেন, সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের নির্দিষ্ট মামলা নিয়ে তিনি আদালতে আসবেন।