Rashtrapati Bhavan Gardens: 'মুঘল গার্ডেন' নয়, 'অমৃত উদ্যান'! নয়া সার্বিক নামকরণ রাষ্ট্রপতি ভবনের সব বাগানের
Amrit Udyan: 'মুঘল গার্ডেন' নয়, 'অমৃত উদ্যান'! রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু 'মুঘল গার্ডেন'-সহ রাষ্ট্রপতি ভবনের সবকটি বাগানের সার্বিক ভাবে নয়া নামকরণ করেছেন 'অমৃত উদ্যান'।
নয়াদিল্লি: 'মুঘল গার্ডেন' (Mughal Gardens) নয়, 'অমৃত উদ্যান' (Amrit Udyan)! এবার থেকে নতুন নামেই দেশ-বিদেশে খ্যাতি ছড়াবে রাষ্ট্রপতি ভবনের চির-পরিচিত বাগানগুলির (Rashtrapati Bhavan Gardens)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu Gives A New Common Name) 'মুঘল গার্ডেন'-সহ রাষ্ট্রপতি ভবনের সবকটি বাগানের সার্বিক ভাবে নয়া নামকরণ করেছেন 'অমৃত উদ্যান'। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই নামকরণ।
নতুন ঘোষণা...
রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নবিকা গুপ্তা নয়া নামের বিষয়টি জানিয়ে দেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে সাধারণ মানুষের জন্য 'অমৃত উদ্যানের' দ্বার খুলে যাবে। তবে রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি অজয় সিংহ জানিয়ে দেন, সার্বিক ভাবে অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি ভবনের সবকটি বাগানের নামই বদলে যাচ্ছে। তাঁর কথায়, 'অতীতে প্রত্যেকটি উদ্যানের আলাদা পরিচয় ছিল। এখন ওই বাগানগুলিকেই একটা নতুন পরিচয় দেওয়া হল।' প্রসঙ্গত, ইস্ট লন, সেন্ট্রাল লন, লং গার্ডেন এবং সার্কুলার গার্ডেন রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্যানগুলির অন্যতম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম এবং রামনাথ কোবিন্দের আমলে হার্বাল-১, হার্বাল-২, ট্যাকটাইল গার্ডেন, বনসাই গার্ডেন এবং আরোগ্য বনাম তৈরি করা হয়। সার্বিক ভাবেই এই উদ্যানগুলির নতুন নামকরণ হয়েছে 'অমৃত উদ্যান'। উল্লেখ্য, এর আগে দেশের একাধিক জায়গার নাম বদল ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
নামবদলে বিতর্ক....
গত বছর জুলাই মাসে তৃণমূল সাংসদ সাইদা আহমেদ কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের কতগুলি শহরের নাম পরিবর্তনে অনুমোদন দিয়েছে? জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে প্রয়াগরাজ রাখে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেওয়া হয়৷ রাজামুন্দ্রাই শহরের নাম রাজামহেন্দ্রবরম রাখার জন্য ২০১৭ সালের ৩ অগাস্ট অন্ধ্র সরকারকে এনওসি দেওয়া হয়৷ নগর উনতারির নাম বদলে বংশীধর নগর রাখায় ঝাড়খণ্ড সরকার ২০১৮ সালের অগস্টে কেন্দ্রের এনওসি পায়৷ মধ্যপ্রদেশের তিনটি শহর বীরশিঙ্গপুর পালি, হোশাঙ্গাবাদ নগর, বাবাই শহরের নাম পরিবর্তনের পর রাখা হয় যথাক্রমে মা বীরাসিনি ধাম (২০১৮), নর্মদাপুরম (২০২১) এবং মাখননগর (২০২১)৷ পঞ্জাবের শ্রী হরগোবিন্দপুর শহর বদলে শ্রী হরগোবিন্দপুর সাহিবের নাম রাখার জন্য ২০২২ সালের মার্চে অনুমোদন দেওয়া হয়৷’ কিন্তু নামবদলের এই ধারা কেন? প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে? যেমন ফৈজাবাদ স্টেশনের নাম বদলে রাখা হয় অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন।
আরও পড়ুন:অমর্ত্য সেনকে ধমকানো, চমকানোর চেষ্টা করলে নিজেরাই ইতিহাস হয়ে যাবে: অভিষেক