(Source: Poll of Polls)
PM Modi; 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে আদিবাসীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি', 'আদি মহোৎসব'-এ মন্তব্য মোদির
Narendra Modi: এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আদিবাসী সমাজের উন্নতি আমার নিজের ভাবনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। যখন প্রধানমন্ত্রী হইনি, তখন ভারতের কোণে কোণে আদিবাসীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।'
নয়া দিল্লি: বৃহত্তর ভাবে আদিবাসী সংস্কৃতি (Adivasi Culture) তুলে ধরতে জাতীয় আদিবাসী উৎসব ‘আদি মহোৎসব’-র আয়োজন করেছে কেন্দ্র (Center)। বৃহস্পতিবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে ট্রাইবাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট ফেডারেশন লিমিটেড এই 'আদি মহোৎসবের’ আয়োজন করেছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আদিবাসী সমাজের উন্নতি আমার নিজের ভাবনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। যখন প্রধানমন্ত্রী হইনি, তখন ভারতের কোণে কোণে আদিবাসীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আদিবাসীদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আপনাদের কাছে এলে মনে হয় নিজের মানুষদের সঙ্গে আছি। জঙ্গল-নদী-পাহাড়ের সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তোলার প্রেরণা দেন আদিবাসীরা'।
মোদি আর কী কী বললেন এদিন?
- 'বিজেপির আমলে ৮০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করছে'
- 'এই সব গোষ্ঠীতে দেড় লক্ষের বেশি আদিবাসী কাজ করছেন'
- 'চলতি বাজেটে ঘোষিত পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় আদিবাসী হস্তশিল্পীরা উপকৃত হবেন'
- 'বিজেপির আমলে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের উন্নতি হচ্ছে'
- 'আদিবাসী শিশুদের ভবিষ্যতের উন্নতি বিজেপি সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য'
- 'নতুন শিক্ষানীতির দৌলতে নিজের ভাষায় পড়তে পারছেন আদিবাসীরা'
- 'এই এলাকা মাওবাদী উপদ্রুত ছিল, এখন সব কা বিকাশ নীতির ফলে তাঁরা মূলস্রোতে ফিরে আসছেন'
- 'আদিবাসী এলাকায় বিজ্ঞান চর্চা হচ্ছে, তাঁরা যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতমানের ফোর জি-র সুবিধা পাচ্ছেন'
- 'এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা ভারতের রাষ্ট্রপতি'
- 'বিজেপির আমলে প্রথম আদিবাসী ইতিহাসকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে'
- 'অমৃত মহোৎসব দেশের ভুলিয়ে দেওয়া ইতিহাসকে মনে করাচ্ছে'
- 'আদি মহোৎসবকে কেন্দ্রীয় সরকার জন আন্দোলনে রূপান্তরিত করবে'
আরও পড়ুন, আবাস যোজনার টাকা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয়, কেন্দ্রকে তোপ মমতার
সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি অবধি এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নয়া দিল্লির মেজর ধ্যান চাঁদ ন্য়াশনাল স্টেডিয়ামে চলবে এই উৎসব। সেখানে ২০০ টির কাছাকাছি দোকান বসবে। সমগ্র দেশের আদিবাসী সংস্কৃতি ফুটে উঠবে এই দোকানগুলি জুড়ে। এই উৎসবে ১ হাজারের কাছাকাছি শিল্পী যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রের তরফে জোয়ার-বাজরার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।