NASA Perseverance Rover: মঙ্গলে অবতরণ ‘পারসিভের্যান্স’-এর
নাসা সূত্রে খবর, লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে ‘পারসিভের্যান্স’। সেইসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করবে। ৪৩টি টেস্ট টিউবে তা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৬ সালে নাসার পরবর্তী অভিযানে সেই টেস্ট টিউবগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
নয়াদিল্লি: লালগ্রহে প্রাণ ও জলের হদিশ পাওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগোল নাসা। গতকাল গভীর রাতে মঙ্গলে অবতরণ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার পাঠানো রোভার ‘পারসিভের্যান্স’। ২০২০ সালের জুলাইয়ে মঙ্গলে পাড়ি দেয় রোভার ‘পারসিভের্যান্স’।
নাসা সূত্রে খবর, লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে ‘পারসিভের্যান্স’। সেইসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করবে। ৪৩টি টেস্ট টিউবে তা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৬ সালে নাসার পরবর্তী অভিযানে সেই টেস্ট টিউবগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। নাসার এই অভিযানে অবদান রয়েছে তিন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানীরও। তাঁদের মধ্যে স্বাতী মোহন মঙ্গলযানের অবতরণের সময় উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন।
মঙ্গলে ফের ইতিহাস তৈরি করল নাসা। মঙ্গলের বুকে কি কোনওদিন প্রাণ ছিল? থাকলে কত কোটি বছর আগে? এখন কি কোনও প্রাণ টিকে আছে লালগ্রহে? গ্রহের গভীরে কি বয়ে চলেছে জলের ফল্গুধারা? প্রশ্ন অনেক। উত্তর অজানা। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ২০২০ সালের জুলাইয়ে মঙ্গলে পাড়ি দেয় রোভার ‘পারসিভের্যান্স’।
২০১২ সালে মঙ্গলের লাল মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে ‘কিউরিওসিটি রোভার’। ২০১৮ সালে মঙ্গলের বুকে নামে নাসার মহাকাশযান ‘ইনসাইট’। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই আমেরিকার ফ্লোরিডার Cape Canaveral Air Force Station থেকে অ্যাটলাস ফাইভ লঞ্চ ভেহিকেলে মঙ্গলে পাড়ি দেয় নাসার রোভার ‘পারসিভের্যান্স’।৬ মাস ১৮ দিন পর সেই ‘পারসিভের্যান্স’ নামল মঙ্গলের মাটিতে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, এই অভিযানের সবচেয়ে কঠিন ছিল অবতরণের শেষ সাত মিনিট। সব প্রতিকূলতা জয় করে মঙ্গলের মাটিতে পা দিল ‘পারসিভের্যান্স’।