এক্সপ্লোর
Advertisement
মহারাষ্ট্রের সাংলি থেকে উদ্ধার ১৯টি কন্যা ভ্রূণ
সাংলি: তারা মেয়ে হয়ে জন্মাতে চেয়েছিল। শুধু এই কারণেই কি পৃথিবীর আলো দেখার আগেই তাদের ঠেলে দেওয়া হয় মৃত্যুর অন্ধকারে? পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাংলি থেকে উদ্ধার ১৯টি পরিত্যক্ত কন্যা ভ্রূণ একসঙ্গে অনেকগুলি প্রশ্ন তুলে ধরেছে। পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের বিরুদ্ধে যতই প্রচার চলুক, ভেতরে ভেতরে তা চলছে পুরোদমে। এখনও এ দেশে মেয়েদের জন্মের আগেই মেরে ফেলা হয়।
সাংলির হাইসাল গ্রামে নদীর ধারে গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ভ্রূণগুলি। গর্ভপাতের সময় এক মহিলার মৃত্যুর তদন্ত করতে করতে পুলিশ ওই নদীর ধারে পৌঁছয়। সেখানেই পাওয়া যায় জন্মানোর আগেই মৃত একের পর এক কন্যার দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামে ২৬ বছরের এক গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুই এই চক্রের পর্দাফাঁস করে। বাবাসাহেব খিদরাপুরে নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ওই গ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ জামদাদে নিজের স্ত্রীর গর্ভপাত করাতে আসেন। গর্ভপাতের সময় মহিলার মৃত্যু হয়।
মৃতের বাবা সুনীল যাদব অভিযোগ করেন, বেআইনিভাবে সন্তানের লিঙ্গপরীক্ষা করে প্রবীণ দেখেন, মেয়ে হতে চলেছে। আগেও দুটি মেয়ে থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন, স্ত্রীর গর্ভপাত করাতে হবে। এ ব্যাপারে সুনীল যাদবকে জানালে তিনি আপত্তি করেন। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে প্রবীণ স্ত্রীকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। সেই ধকল নিতে না পেরে তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। তদন্তে ধরা পড়ে শিশুহননকারী এই চক্র। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
আইপিএল
জেলার
Advertisement