এক্সপ্লোর
Advertisement
দলিত নির্যাতন নিয়ে বলতে 'বাধা', ওয়াক আউট, রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন মায়াবতী
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট, ঘোষণা করে ইস্তফা দিলেন মায়াবতী। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি) নেত্রী দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ইস্যুতে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এদিন। প্রায় গোটা বিরোধী শিবির তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত সভাকক্ষ ত্যাগ করে।
দলিত, সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক নানা হামলার প্রসঙ্গ তুলতে যান মায়াবতী। গত মে মাসে বি আর অম্বেডকরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দলিতদের ওপর আক্রমণের ইস্যুতেও মুখ খুলতে চান তিনি। বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলিত, গরিব, সংখ্যালঘু, পিছিয়ে পড়া লোকজনের ওপর নির্যাতন চলছে। সাহারানপুরে দলিতরা আক্রান্ত হলেও সরকার কিছুই করেনি। উত্তরপ্রদেশে কোনও অংশের মানুষই নিরাপদ নন, তবে দলিতদের অবস্থা আরও খারাপ।
তবে মায়াবতীকে বরাদ্দ ৩ মিনিট সময় ছাড়িয়ে যাওয়ায় ভাষণ শেষ করতে বলা হয়। ক্ষুব্ধ মায়াবতী বলেন, আমাকে এখনই বলতে না দেওয়া হলে ইস্তফা দেব, এখনই। নিজের 'সমাজ' নিয়ে তিনি কথা বলতে চান, কী করে তাঁকে বাধা দেন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন পি জে ক্যুরিয়েন।
মায়াবতী বলেন, আমার বলা শেষ হয়নি। আপনি এটা করতে পারেন না। দলিতের ওপর অত্যাচারের ব্যাপারে আমার বক্তব্য বলার সুযোগ না পেলে এই সভায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই আমার।
মায়াবতীকে নিরস্ত করতে ক্যুরিয়েন জানান, রুল ২৬৭-র আওতায় নোটিস দিয়ে আলোচনা চাইতে পারতেন তিনি, যে নিয়মে কোনও ইস্যু তোলার জন্য সভার কার্যক্রম মুলতুবি রাখা হয়, কিন্তু আলোচনা শুরুর জন্য নিজেই ভাষণ দিতে পারেন না।
যদিও বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি মায়াবতী রাজ্যসভা চেয়ারপার্সনের পদের অপমান করেছেন, তাঁকে এজন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন।
মায়াবতীকে সমর্থন করেন বাম, কংগ্রেস এমপি-রা।
বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ দাবি করেন, বিরোধী শিবিরের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, বৈষম্য নিয়ে আলোচনা হতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কৃষক, দলিত, সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে নোটিস দিয়েছি। কিন্তু সরকার আমাদের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে। বিরোধীদের অবহেলিত মানুষের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। বিজেপি কি মনে করে, গরিব ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য করার জনাদেশ পেয়েছে?
গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবারের অধিবেশনে সহযোগিতার আবহ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। আজাদ তাঁর ও বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, শাসক দল আমাদের বিতর্কের সুযোগ দিলে আমরাও খুশি মনে সহযোগিতা করব, গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ করিয়ে দিতেও সাহায্য করব।
মায়াবতী পরে চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করে মায়াবতী সাংবাদিকদের বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিতে সভায় বলতে পারব না, এটা ঠিক নয়। আমি বলতে গেলে সরকারপক্ষ আমার বলা শেষ করতে দেয়নি। ওদের সদস্যরা ক্রমাগত বাধা দিল। এটা ভাল নয়।
রাজ্যসভা সচিবালয় সূত্রের খবর, মায়াবতীর ইস্তফা গ্রহণের বিষয়টি চেয়ারম্যানের ওপর নির্ভর করছে। নিয়ম হল, ইস্তফাপত্রে কারণ উল্লেখ করা চলবে না, সেটি সংক্ষিপ্ত হতে হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement