এক্সপ্লোর
Advertisement
বিজেপির দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, বিহারে টানা চারবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নীতীশের
বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। ২ জন উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির তরফে। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কেও দেওয়া হল মন্ত্রিত্ব। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট আরজেডির।
পটনা: বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। ২ জন উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির তরফে। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-কেও দেওয়া হল মন্ত্রিত্ব। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট আরজেডির।
এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি, বিজেপির পর তৃতীয় বৃহত্তম দল নীতীশের জেডিইউ। তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই দল হিসেবে ‘থার্ড বয়’ হলেও, নীতীশ কুমারই ফের একবার বসলেন পাটুলিপুত্রের সিংহাসনে।এই নিয়ে টানা ৪ বার।
সবমিলিয়ে ৭ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ !
বিহারের মসনদে ফের নীতীশ-রাজ। এনডিএ-র ‘বিগ ব্রাদার’ বিজেপি পেল ২ জন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তারকিশোর প্রসাদ এবং রেণু দেবী।
ঐক্যবদ্ধ এনডিএ-র বার্তা দিতে নীতীশের শপথে হাজির রইলেন অমিত শাহ থেকে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার নির্বাচনে ১২৫ আসনে জয়ী হয় এনডিএ।
এর মধ্যে বিজেপি ৭৪, জেডিইউ ৪৩,জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৪ এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি ৪ আসনে জয়ী হয়।
কিন্তু, পূর্ব নির্ধারিত সমীকরণ মেনে নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এনডিএ-র বৈঠকে। বিহারে যখন এনডিএ-র ঐক্যবদ্ধ চেহারা ফুটে উঠছে, তখন দ্বন্দ্বে জীর্ণ মহাজোট। এবার নির্বাচনে, ১৪৪ আসনে লড়ে ৭৫টি আসনে জিতেছে আরজেডি।বামেরা ২৯টি আসনে লড়ে জিতেছে ১৬টিতে।কংগ্রেস সেখানে ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ১৯টিতে জয়ী।গতবারের তুলনায় তাদের আসন সংখ্যা ৮টি কমেছে।
অর্থাৎ সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স কংগ্রেসেরই। সেটাই সরকার গড়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারির। দলের নেতা শিবানন্দ তিওয়ারির অভিযোগ, যখন বিহারে ভোটের পুরোদস্তুর লড়াই চলছিল, তখন রাহুল সিমলাতে তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে পিকনিক করছিলেন।
আরজেডি নেতা আরও বলেছেন, রাহুল ভোটের প্রচারে বিহারে এসেছিলেন। কিন্তু মাত্র তিনদিনের জন্য। প্রতিদিন দুটি করে মিটিং করেছেন। তাঁর থেকে বয়সে অনেক বড় হয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিদিন চারটি করে মিটিং করেছেন।
প্রিয়ঙ্কাও প্রচারে আসেননি। তাঁর প্রশ্ন, ৭০টি আসনে লড়লেন, কতগুলো সভা করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা?
আরজেডি নেতৃত্ব এ বিষয়ে দূরত্ব বজায় রাখলেও, তাদের নেতার কটাক্ষ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিহার কংগ্রেস। দলের এক বিধান পরিষদ সদস্য বলেছেন, বিজেপি নেতাদের সুরে কথা বলা হচ্ছে।
তবে ঘরে-বাইরে অস্বস্তি কমছে না কংগ্রেসের। ভোট যুদ্ধে দলকে দিশাহীন দেখানোয় ফের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বল। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, বিহার এবং অন্য উপনির্বাচনের ফল নিয়ে নেতৃত্বের বক্তব্য এখনও সামনে আসেনি। হয়তো তাঁদের মনে হচ্ছে, সব ঠিক আছে। এই ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মনে হচ্ছে যেন কংগ্রেসকে আর বিকল্প বলে মানতে চাইছেন না দেশবাসী। তাই আত্মবিশ্লেষণ ছাড়া উপায় নেই। জানি, সংগঠনে সমস্যা কোথায়। তার সমাধানও জানা। কিন্তু এই সমাধানের পথ এড়িয়ে চলছেন তাঁরা।
বছর ঘুরলেই, বাংলা, অসম-সহ একাধিক রাজ্যে ভোট। নেতৃত্বের সঙ্কট ঘোচাতে না পারলে, আরও ধাক্কা অপেক্ষা করে আছে দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির জন্য। মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement