এক্সপ্লোর
Advertisement
কর্নাটকে একক বৃহত্তম বিজেপি, ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে শিকারীপুরে জয়ী ইয়েদুরাপ্পা
বেঙ্গালুরু: ৫ বছর পর ফের কর্নাটক বিজেপি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন সেই বি এস ইয়েদুরাপ্পা। ইয়েড্ডি জানিয়ে দিয়েছেন, আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে শপথগ্রহণের দিনক্ষণ স্থির করবেন তিনি। শিকারীপুরে তিনি জিতেছেন ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে।
ভোট গণনা শুরুর আগে আজ সকালে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁকে সামনে রেখেই দক্ষিণের এই রাজ্যে এবার ভোটে লড়ে বিজেপি। এক সময় চাল কলের কেরানি থাকা এই নেতাই কর্নাটকে একটু একটু করে গড়েছেন বিজেপির ভিত। পরে শিমোগায় তৈরি করেন নিজস্ব হার্ডওয়্যারের দোকান।
১৯৭৯-তে রাজনীতিতে প্রবেশ ইয়েদুরাপ্পার। শিকারীপুরে আরএসএসের সচিব হন, জরুরি অবস্থা চলাকালীন জেলও খেটেছেন। তাঁর হাত ধরেই রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি গড়ে তোলে বিজেপি। জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ধরম সিংহকে ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করে ইয়েড্ডি প্রথম শিরোনামে আসেন। কুমারস্বামী হন মুখ্যমন্ত্রী, ইয়েড্ডি উপ মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কথামত কুমারস্বামী পদত্যাগ না করায় ইয়েড্ডি ও আর এক মন্ত্রী দল থেকে পদত্যাগ করেন। দুদলে অশান্তি মিটে সাময়িকভাবে মিটে গেলেও মন্ত্রিত্ব বণ্টন নিয়ে জেডিএসের সঙ্গে অশান্তির জেরে কয়েক মাস বাদে ফের পদত্যাগ করেন তিনি।
২০০৮-এ ভোটে জিতে ইয়েদুরাপ্পা যখন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন তাঁর পথ চলা খুব একটা আনন্দদায়ক হয়নি। ওঠে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, বিরোধীরা বলে, ছেলেদের সস্তায় বেঙ্গালুরুতে দামি জমি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। বহুবার তাঁকে সরানোর চেষ্টা হয়, জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষও বাধে। শেষমেষ ২০১১-র জুলাইতে পদত্যাগ করেন ইয়েড্ডি। মুখ্যমন্ত্রী হন সদানন্দ গৌড়া। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ ইয়েদুরাপ্পা তৈরি করেন কর্নাটক জনতা পক্ষ বা কেজেপি। ২০১৪-র জানুয়ারিতে তা মিশিয়ে দেন বিজেপির সঙ্গে।
ইয়েড্ডি লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ভুক্ত, কর্নাটকের শক্তিশালী এই সম্প্রদায়ের সমর্থন বরাবরই তাঁর সঙ্গে। এবার সিদ্দেরামাইয়া লিঙ্গায়তদের আলাদা ধর্মগোষ্ঠী বলে স্বীকৃতি দেওয়ায় মনে হয়েছিল, বিজেপির এই ভোটব্যাঙ্কে চিড় ধরবে, বড় একটা অংশ ঝুঁকে পড়বে কংগ্রেসের দিকে। কিন্তু যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে লিঙ্গায়ত ভোট নিজের কাছেই রেখে ইয়েড্ডি বুঝিয়ে দিলেন, কর্নাটকে তাঁর প্রভাব শত বিতর্কের পরেও অব্যাহত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement