৩ ঘণ্টায় বরফঢাকা রাস্তা হেঁটে অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ৬ পুলিশকর্মী
সিমলা: যখন সিমলার স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা প্রবল ঠান্ডার মোকাবিলা করতে হিমসিম খাচ্ছেন, ঠিক তখন এক হৃদয়স্পর্শী দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সেখানকার পুলিশ।
প্রবল তুষারপাতের জেরে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। মোটা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে, প্রতিটি সড়ক। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে। বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এক কথায় স্বাভাবিকর জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশের মর্যাদা তুলে ধরলেন তিন উর্দিধারী। ঘটনায় প্রকাশ, গত ৯ জানুয়ারি, বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ কামিনী নামে এক স্থানীয় মহিলার প্রসবযন্ত্রণা ওঠে। মহিলা ভোঁট গ্রামের বাসিন্দা।
তাঁর পক্ষে কোনও মতেই হাসপাতালে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। কারণ, প্রবল তুষারপাতে সবকটি রাস্তা বন্ধ ছিল। এমনকী, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করা হলে, জানিয়ে দেওয়া হয় বরফের মধ্যে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা। ওই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সব আশা কার্যত ছেড়ে দিয়েছিলেন মহিলা ও তাঁর মা।
এমন সময়ে শিমলা পুলিশের ৬ জন কর্মী তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। পুলিশকর্মীরা, অন্তঃসত্ত্বাকে একটি চৌকিতে বেঁধে কম্বল চাপা দিয়ে কাঁধে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। প্রায় তিনঘণ্টা ধরে এইভাবে বরফ ও প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে ১০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার পর মহিলাকে নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছন। তখন রাত সাড়ে ৯টা।
ওইদিন রাতেই এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন মহিলা। এই ৬ অসীমসাহসী পুলিশকর্মীর বীরগাথা এখন সিমলার প্রত্যেক পর্বতমালায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।