এক্সপ্লোর
প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ফসল জ্বালানোর ফলেই দূষণ, দাবি কেজরীবালের, কেন্দ্র, হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লি সরকারকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব

নয়াদিল্লি: ফসল জ্বালানোর ফলে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলায় কেন্দ্র, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও দিল্লি সরকারের একত্রে বসে সমাধানসূত্র খোঁজার প্রস্তাব দিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ এক অনুষ্ঠানে দিল্লির আমআদমি পার্টি (আপ) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রাজধানীতে ট্রাকের প্রবেশ, নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ রেখে, যানবাহন চলাচলে জোড়-বিজোড় নীতি কার্যকর করে চড়া বায়ু দূষণ মোকাবিলা করা যাবে না বলে অভিমত জানান। বলেন, তাঁর সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় তড়িঘড়ি কোনও পদক্ষেপ করতে চায় না, কারণ পরে তাতে দিল্লির মানুষই নানা সমস্যায় পড়বেন। রাজধানীর আকাশ, বাতাস গত কয়েকদিন ধরে কালো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে থাকার পিছনে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির চাষের মাঠ পরের বছরের জন্য পরিষ্কার রাখতে কৃষকদের ফসল পোড়ানোকেই প্রাথমিক কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেন কেজরীবাল। বলেন, আমার খুব খারাপ লাগে যে, দিল্লির বাসিন্দাদের দূষণে ভুগতে হচ্ছে। কৃষকদের ফসল পোড়ানো একটা আর্থিক সমস্যা। পঞ্জাব, হরিয়ানা সরকারকে এর সমাধান বের করতে হবে, নয়তো প্রতি বছর সমস্যায় পড়তে হবে আমাদের। প্রতি বছরই এই সময়ে ফসল পোড়ানোর জেরে বায়ু দূষণ খুব বেড়ে যায়। রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে কেন্দ্র, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও দিল্লির এগিয়ে এসে এর সমাধান খুঁজে বের করা উচিত। গতকাল থেকেই আমি হরিয়ানা ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি, কিন্তু সাড়া পাইনি। চাষিদের ওপর ফসল জ্বালানোর জন্য জরিমানা চাপানোও সমাধান নয় বলে জানান তিনি। বলেন, ফসল পোড়ানো বন্ধ করতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা প্রযুক্তি বের করুক, আর্থিক সাহায্য দিক। দূষণে মানুষের স্বাস্থ্যের বিপুল ক্ষতি ও সেজন্য বিরাট আর্থিক ব্যয় হলে আমরা কিছুটা ব্যয় ভার নিতে পারি, এটা সবারই দায়িত্ব। এদিকে কেজরীবালের আলোচনার প্রস্তাবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে কোনও লাভ হবে না। কেন্দ্রকেই বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্যোগী হয়ে ফসল বিক্রি না হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে দিতে চাষিদের আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















