এক্সপ্লোর
Advertisement
তফসিলি আইনের ওপর রায়ে স্থগিতাদেশ চাইল কেন্দ্র, ১০০ শতাংশ তফসিলি জাতি, উপজাতি স্বার্থরক্ষা, তাদের ওপর অত্যাচারে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পক্ষে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে স্থগিতদেশ চাইলেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। তিনি সওয়াল করেন, সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনও নিয়ম বা গাইডলাইন তৈরি করতে পারে না যা সংসদে পাশ হওয়া আইনের সঙ্গে বেমানান। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের জেরে জীবনহানি পর্যন্ত হয়েছে বলে জানিয়ে বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর দাবিও করেন তিনি।
যদিও বিচারপতি এ কে গোয়েল ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ গত ২০ মার্চের নির্দেশের সমর্থনে বলে, তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের ওপর রায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তার সব দিক ও আগের প্রাসঙ্গিক যাবতীয় রায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। তারা ১০০ শতাংশ তফসিলি জাতি, উপজাতিদের স্বার্থ রক্ষা ও তাদের ওপর অত্যাচারে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পক্ষে।
কেন্দ্র গত ২ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে ২০ মার্চের রায় খতিয়ে দেখার আবেদন করে। সেই রায়ে ১৯৮৯ সালের তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনে অভিযোগ জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারির ধারার ওপর কিছু রক্ষাকবচ বসানো হয়। শীর্ষ আদালত ২৭ এপ্রিল কেন্দ্রের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে একইসঙ্গে পরিষ্কার বলে দেয়, এ ব্যাপারে আর কোনও পিটিশন বিবেচনা করা হবে না।
সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আবেদনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, তাদের রায়ে তফসিলি আইনের কঠোর ধারাগুলি শিথিল করে দেওয়া হয়েছে, ফলে দেশের বড় ক্ষতি হয়েছে। তফসিলি সমাজে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, নষ্ট হচ্ছে সম্প্রীতি।
সরকার সর্বোচ্চ আদালতে বলে, তাদের ওই রায় তফসিলিদের ব্যাপারে সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করবে। আইনের আগের ধারাগুলি ফিরিয়ে আনা হোক।
শীর্ষ আদালতের ২০ মার্চের রায়ে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই নিরপরাধ মানুষকে অভিযুক্ত বলে দেখানো হয়, সরকারি কর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় না। তফসিলি আইন তৈরির সময় কিন্তু এটা লক্ষ্য ছিল না।
রায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন তফসিলি সংগঠন সম্প্রতি ভারত বনধের ডাক দেয় হয়, যাতে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। ৮ জন মারা যান।
কেন্দ্রের রিভিউ পিটিশনের শুনানির সময় গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালত বলে, তফসিলি আইনের কোনও ধারাই শিথিল হয়নি, শুধু নিরপরাধ লোকজনের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কিছু বাড়তি রক্ষাকবচ যোগ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের রিভিউ পিটিশনের ফয়সালা হওয়া পর্যন্ত ২০ মার্চের রায়ের প্রয়োগ স্থগিত রাখতেও রাজি হয়নি সর্বোচ্চ আদালত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
খুঁটিনাটি
Advertisement