এক্সপ্লোর
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চাকমা, হাজংদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র, জানালেন রিজিজু
নয়াদিল্লি: মায়ানমারে সামরিক অভিযানের চাপে ভারতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের বের করে দেওয়ার সরকারি ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপূর্ব ভারতে বসবাসকারী সব চাকমা ও হাজং উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল। অরুণাচলের লোক রিজিজু আজও দাবি করেন, রোহিঙ্গারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ডাকা এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে চাকমা-হাজং শরণার্থীদের ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু স্থানীয় ভূমিপুত্রদের স্বার্থহানি না করে চাকমা-হাজং গোষ্ঠীকে দেশের নাগরিকের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন।
একইসঙ্গে ওই দুই সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের রায় কার্যকর করা ও স্থানীয় মানুষের অধিকার বিপন্ন না হওয়া সুনিশ্চিত করতে মধ্যপন্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। রিজিজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্মান করতে হবে। চাকমারা ১৯৬৪ সাল থেকেই অরুণচল প্রদেশে পাকাপাকি বসবাস করছেন। কিন্তু তা বলে সেখানকার ভূমিপুত্রদের অধিকারও জলাঞ্জলি দেওয়া যায় না।
চাকমা, হাজংদের নাগরিকত্ব দেওয়ায় আগে থেকেই আপত্তি রয়েছে অরুণাচলের বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের। ওরা নাগরিকত্ব পেলে রাজ্যের জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে যাবে বলে তাদের আশঙ্কা।
এ কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের প্রস্তাব, চাকমা ও হাজং শরণার্থীদের জমির মালিকানা সহ বেশ কিছু অধিকার দেওয়া হবে না, যেগুলি ভোগ করেন অরুণাচলের তফসিলি উপজাতিভুক্ত লোকজন। তবে তাদের ইনার লাইন পারমিট দেওয়া যেতে পারে, যা অরুণাচলে ভ্রমণে বা কাজ করতে গেলে বহিরাগতদের দেখাতে হয়।
আদতে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা চাকমা, হাজংরা ধর্মীয় নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতে ঢুকতে থাকেন ৬০-এর দশকে। কেন্দ্র তাদের অধিকাংশকেই ততকালীন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি অর্থাত্ এখনকার অরুণাচল প্রদেশে সরিয়ে দেয়।
সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশ, ১৯৬৪-১৯৬৯ পর্বে উদ্বাস্তু সংখ্যা ৫০০০ থেকে বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লক্ষে। তাদের নাগরিকত্ব, জমির মালিকানা নেই, তবে মৌলিক নাগরিক পরিষেবাগুলি দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে এই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় সু্প্রিম কোর্ট। নির্দেশ পুনর্বিচার করতে অরুণাচল সরকার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করলেও ফল হয়নি। অতঃপর কেন্দ্র, রাজ্য মিলে সমাধান খোঁজার চেষ্টা শুরু করে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement