১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণ: এক নজরে মামলার ২৪ বছর...
মুম্বই: ১২ মার্চ ১৯৯৩। ১২টি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাণিজ্যনগরী মুম্বই (তৎকালীন বম্বে)। মারা যান ২৫৭ জন। ঘটনার ২৪ বছর পর সেই মামলায় এদিন ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল নিম্ন আদালত। আবু সালেম নহ দুজনকে যাবজ্জীবন। মামলার মূল শুনানি-পর্ব ২০০৭ সালেই শেষ হয়েছিল। পৃথকভাবে, এই সাতজনের বিরুদ্ধে শুনানি চলে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মামলার কালক্রম—
১২ মার্চ, ১৯৯৩- ১২ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। এর ফলে ২৫৭ জন মারা যান, ৭১৩ জন আহত হন।
১৯ এপ্রিল, ১৯৯৩- (অভিযুক্ত নম্বর ১১৭) বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত গ্রেফতার।
৪ নভেম্বর, ১৯৯৩- দত্ত সহ ১৮৯ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি পাতার প্রাথমিক চার্জশিট দাখিল করা হয়।
১৯ নভেম্বর, ১৯৯৩- মামলার ভার যায় সিবিআই-এর হাতে।
এপ্রিল ১০, ১৯৯৫- ২৬ অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিল টাডা আদালত। বাকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন।
সুপ্রিম কোর্ট আরও ২ অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়। এঁরা হলেন- সমাজবাদী পার্টি নেতা তথা ট্রাভেল এজেন্ট আবু আসিম আজমি এবং আমজাদ মেহর বক্স।
১৯ এপ্রিল, ১৯৯৫- বিচার প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ শুরু।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০০২- পর্তুগালের লিসবনে ধৃত আবু সালেম।
২০ মার্চ ২০০৩- দুবাই থেকে ফেরা মাত্র অন্যতম অভিযুক্ত দোসাকে দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাকড়াও করল সিবিআই।
সেপ্টেম্বর, ২০০৩- মুল বিচার শেষ। মুম্বইয়ের টাডা আদালত রায় স্থগিত রাখে।
৯ জানুয়ারি ২০০৪- দোসার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন।
১১ নভেম্বর, ২০০৫- ভারতে প্রত্যর্পণ আবু সালেমের।
৯ ডিসেম্বর, ২০০৫- সালেমের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন।
১৩ জুন, ২০০৬- আবু সালেমের বিচার পৃথক করার সিদ্ধান্ত।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৬- রায় পড়ে শোনান টাডা আদালতের বিচারক পি ডি কোড়ে। সেখানে মেমন পরিবারের চার সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মুক্ত করা হয় আরও তিন সদস্যকে। রায়ে ১২ দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০ জনকে যাবজ্জীবন। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি, ২০০৭- মূল বিচার শেষ। বিচারের দ্বিতীয় দফা শুরু। অভিযুক্ত সালেম সহ ৭।
১৬ মার্চ, ২০১৩- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আদালতে আত্মসমর্পণ সঞ্জয় দত্তের।
২১ মার্চ, ২০১৩- মূল কূচক্রী টাইগার মেমনের ভাই ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অন্য ১০ মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে শীর্ষ আদালত। এছাড়া, অন্য ১৮ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৬ জনের মেয়াদ বহাল রাখা হয়।
১৩ অগাস্ট, ২০১৩- আবু সালেমের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ বাতিল করে টাডা আদালত। কারণ, সেগুলি পর্তুগালের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির খেলাপ হত।
৭ ডিসেম্বর, ২০১৫- একমাত্র মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
৮ জুন, ২০১৬- রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করে অভিযুক্ত ফিরোজ আব্দুল রশিদ। আদালত তা খারিজ করে দেয়।
মার্চ, ২০১৭- শুনানি পর্ব শেষ।
১৬ জুন- টাডা বিচারক জি এ সনপ আবু সালেম ও দোসা সমেত ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন।
২৮ জুন- মুম্বই হাসপাতালে হৃদরোগে মারা গেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া দোসা।
৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭- তাহির মার্চেন্ট ও ফিরোজ আব্দুল রশিদ খানকে মৃত্যুদণ্ড, আবু সালেম ও করিমুল্লাহ খানের যাবজ্জীবন এবং রিয়াজ সিদ্দিকিকে ১০ বছরের সাজা শোনাল টাডা আদালত।