‘আমাজন’-এর সঙ্গে ১.৩ কোটি টাকার প্রতারণা, ধৃত দশম শ্রেণি-ছুট সহ ৪

বেঙ্গালুরু: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন বিপণী সংস্থা ‘আমাজন’-এর সঙ্গে ১.৩ কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল দশম শ্রেণি-ছুট এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল কর্নাটক।
খবরে প্রকাশ, দর্শন নামে বছর পঁচিশের ওই ব্যক্তি চিকমাগালুরের একটি ক্যুরিয়ার এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, বন্ধুদের মাধ্যমে সে বিভিন্ন দামি পণ্য অনলাইনে অর্ডার দিত। তারপর, টাকা না মিটিয়ে দেখিয়ে দিত যে পেমেন্ট হয়ে গিয়েছে।
কী করে এমনটা করল দর্শন? তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চিকমাগালুরে তাদের পণ্য সরবরাহ করার জন্য একদন্ত নামে একটি ক্যুরিয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আমাজন। দর্শন এই সংস্থায় কাজ করত।
তার কাজ ছিল, অর্ডারে পণ্য ডেলিভারি করে পেমেন্ট নিয়ে আসা। এর জন্য আমাজন তাকে একটি ট্যাব দিয়েছিল, যাতে ডেলিভারি ও পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করা যায়। ওই ট্যাবের সঙ্গে ছিল একটি কার্ড সোয়াইপ করার ইউনিট।
অভিযোগ, ওই ট্যাবে প্রযুক্তিগত জালিয়াতি করে কার্ডের পেমেন্ট অ্যাক্সেস করিয়েও পরে সেই টাকা আমাজনের থেকে ফেরত নিয়ে নিত দর্শন। এর জন্য সে একটি ভুয়ো পেমেন্ট অ্যালার্টও জারি করাত।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি—এই পাঁচ মাসে চিকমাগালুরে মোট ৪,৬০৬টি অর্ডার পায় আমাজন। সবকটিই ডেলিভারি করে দর্শন।
ফেব্রুয়ারি মাসে অডিটে ধরা পড়ে এই প্রতারণার বিষয়টি। এরপরই গত ৮ তারিখ, অনলাইন বিপণী সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানান, সংস্থার ১.৩ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দর্শন সহ চারজনকে গ্রেফতার করে।
তাদের হেফাজত থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়। তালিকায় রয়েছে—২১টি স্মার্টফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি আই-পড এবং একটি অ্যাপল ওয়াচ। পাশাপাশি, চারটি মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।






















