আইবি কর্মী খুনে তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘আপের কেউ দোষী হলে দ্বিগুণ সাজা’, মন্তব্য কেজরিওয়ালের
আইবি কর্মী খুনে তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির।
দিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ। সেই ঘটনায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন গোয়ান্দ সংস্থার কর্মীও। গত মঙ্গলবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ইন্টিলিজেন্স ব্যুরোর সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্ট অঙ্কিত শর্মা। সিএএ-সমর্থক বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিনি উত্তরপূর্ব দিল্লিতেই কর্তব্যরত ছিলেন। বুধবার চাঁদবাগ অঞ্চলের নর্দমা থেকে ২৬ বছরের ওই গোয়েন্দা কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। আইবি কর্মীর মৃত্যুতে বিজেপি নেতা কপিল শর্মা সরাসরি আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে দায়ী করেন।
ট্যুইটে একটি ভিডিও পোস্ট করে কপিল শর্মা দাবি করেন, গোয়েন্দা সংস্থার ওই কর্মীর ওপর পাথরবৃষ্টি করা হয়। ছোড়া হয় পেট্রোল বোমও। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র আরও দাবি করেন, নেহুরু বিহারের আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেনের ফ্যাক্টরির ছাদ থেকে পাথর, পেট্রোল বোমা পাওয়া গিয়েছে। অঙ্কিতের মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছেন আপ নেতাই। বিজেপি নেতার সুরে সুর মিলিয়ে তাহির হুসেনকেই দাদার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন অঙ্কিতের ভাই অঙ্কুরও।
অঙ্কুরের বক্তব্য, অঙ্কিতকে তাহিরের ছেলেরা আটকে রাখার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অঙ্কিতের বাবা রবিন্দর কুমার সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, যেখানে পাথরবৃষ্টি হচ্ছিল সেখানেই ছিল অঙ্কিত। ১৫ থেকে ২০ জন এসে অঙ্কিতকে টানতে টানতে একটি বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। অনেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাদের ওপর তাহিরের ছেলেরা গুলি চালায় বলেও অভিযোগ তাঁর। প্রসঙ্গত, রবিন্দর কুমার কারল বাগ থানায় কর্মরত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই অঙ্কিতের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাহির হুসেন। তাঁর বক্তব্য, “আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃ্ত্যু ঘটনায় আমি শোকাহত। ও (অঙ্কিত) সুবিচার পাক, সেটাই চাই। এই ঘটনায় আমি দায়ী নই। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।” যদিও বিজেপি তা মানতে নারাজ।
এই ইস্যুতে এদিন সাংবাদিক সন্মেলন করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিম অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হবে। আম আদমি পার্টির কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর দ্বিগুণ সাজা। একই সঙ্গে দেশের নিরপত্তা নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি যে তাঁর পছন্দ নয়, তাও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।