কেজরীবালের ধর্না: হাইকোর্টের তিরস্কার, আলোচনায় রাজি, ইঙ্গিত আপ সরকার-আমলাদের
নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই গত চারমাসের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হল কেজরীবাল প্রশাসন ও আমলাদের সংগঠন। আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে দুই বিবাদমান পক্ষই।
এদিন সকালে আমআদমি পার্টির (আপ) সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগে দিল্লি হাইকোর্ট। কে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের দফতরে ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে, সরকারের কাছে জানতে চায় আদালত।
এরপরই, সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় দিল্লি প্রশাসন। উপ-রাজ্যপালকে চিঠি লিখে প্রশাসন ও আমলাদের আলোচনায় বসাতে আর্জি জানান উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সেখানে তিনি লেখেন, যেহেতু গোটা বিষয়টি আপনার আওতাধীন, তাই আমরা চাই আপনার নেতৃত্বে ওই আলোচনা হোক। তাতে দুপক্ষই আপনার উপস্থিতিতে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য যা যা করণীয় সব করবে।
প্রসঙ্গত, গতকালই, আমলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেজরীবাল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসকে স্বাগত জানিয়ে আমলারা জানিয়ে দেন, তাঁরাও আলোচনায় বসতে রাজি। আমলাদের সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে, তারা দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। তবে একইসঙ্গে, তাঁরা ধর্মঘট করেছেন বলে যে অভিযোগ তুলেছে আপ সরকার, তা ভিত্তিহীন।
এর আগে, এদিন আদালতে তীব্র সমালোচিত হয় কেজরীবাল সরকার। বিচারপতি এ কে চাওলা ও বিচারপতি নবীন চাওলার বেঞ্চ আজ দুটি পিটিশনের শুনানির সময় বলেছে, কে কেজরীবালের ধরনায় অনুমতি দিয়েছে? লেফটেন্যান্ট জেনারেলের অফিসের ভিতরে ধরনা চলছে। হরতাল করতে হলে অফিসের বাইরে করা উচিত। সাধারণত হরতাল প্রতিষ্ঠানের বাইরেই হয়, ভিতরে নয়।
একটি পিটিশন পেশ হয়েছে আপ নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের অবস্থান-ধরনার বিরুদ্ধে, আরেকটি দিল্লি সরকারের আইএএস অফিসারদের বিরুদ্ধে ধর্মঘটের অভিযোগ এনে। এছাড়া দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেন্দর গুপ্তাও লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজলের দপ্তরে কেজরীবালের ধরনার বিরুদ্ধে পৃথক পিটিশন দিয়েছেন, যার শুনানি সম্ভবত ২২ জুন। আদালত বলেছে, আইএএস অফিসারদের অ্যাসোসিয়েশনকেও এ ব্যাপারে পক্ষ করতে হবে।