পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে কথা রাহুলের, ‘ড্রামাবাজি’! কটাক্ষ নির্মলার
লকডাউনে দিল্লিতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে পথে নেমেছিলেন রাহুল গাঁধী। সেই ইস্যু তুলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকে 'নাটকবাজি' বলে বেনজির আক্রমণ শানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
নয়াদিল্লি: লকডাউনে দিল্লিতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে পথে নেমেছিলেন রাহুল গাঁধী। সেই ইস্যু তুলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকে 'নাটকবাজি' বলে বেনজির আক্রমণ শানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের পঞ্চম তথা শেষ দফার ঘোষণার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুতে কংগ্রেসের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। উত্তরে রাহুলের পথে নামাকে কটাক্ষ করে নির্মলা বলেন, 'পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে বসে ওদের সময় নষ্ট না করে, বরং ওদের সঙ্গে হাঁটুন বা ওদের স্যুটকেস বহন করুন রাহুল, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে বেশি ট্রেন চালাতে বলুন, যাতে আরও বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেন। ওরা আমাদের নাটকবাজ বলে? কাল তাহলে কী হল? ওটাই তো ড্রামাবাজি।' সরাসরি কংগ্রেস সভানেত্রীর নাম করে নির্মলা বলেন, 'এ ব্যাপারে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি সনিয়া গাঁধীকে।'
শনিবার দক্ষিণ দিল্লিতে একটি উড়ালপুলের নিচে তাঁবু খাটিয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, মুখে মাস্ক পরে ফুটপাথে বসে পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি ছোট দলের সঙ্গে কথা বলছেন রাহুল, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন উত্তরপ্রদেশ ফিরে যাওয়ার পথে, বাকিরা মধ্যপ্রদেশে। হরিয়ানার আম্বালা থেকে ১৩০ কিলোমিটার হেঁটে অতিক্রম করেছেন তাঁরা।
লকডাউনের জেরে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ি ফেরার তাগিদে মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন তাঁরা। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েও সেই সুবিধা পাচ্ছেন না সবাই। পথে হাঁটতে হাঁটতে মারা যাচ্ছেন একাধিক শ্রমিক। প্রায় রোজই সামনে আসছে পথ-দুর্ঘটনায় শ্রমিক মৃত্যুর খবর।