এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
পওয়ার পরিবারই প্রথম নয়, এর আগেও রাজনীতি ভেঙে দিয়েছে বহু সংসারকে, দেখে নিন
ভাইয়ের সিদ্ধান্তে অখুশি শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে প্রকাশ্যে কেঁদেও ফেলেছেন। শরদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভাইপোকে মজা দেখাবেন, বহিষ্কার করবেন দল থেকে। তবে ভারতীয় রাজনীতিতে পারিবারিক বিবাদ এই প্রথম নয়, দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু ঘটনা।
নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে জমে উঠেছে কাকা-ভাইপো গৃহযুদ্ধ। এতদিন কাকা শরদ পওয়ারের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকা অজিত পওয়ার আচমকা বিদ্রোহী হয়েছেন, দল ভেঙে বিজেপির হাত ধরেছেন তিনি। ভাইয়ের সিদ্ধান্তে অখুশি শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে প্রকাশ্যে কেঁদেও ফেলেছেন। শরদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভাইপোকে মজা দেখাবেন, বহিষ্কার করবেন দল থেকে। তবে ভারতীয় রাজনীতিতে পারিবারিক বিবাদ এই প্রথম নয়, দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু ঘটনা।
দেবীলাল পরিবার
১৯৮৯-এ বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হরিয়ানার একচ্ছত্র নেতা দেবীলাল। তার আগে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি উপ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর পরিবার ভেঙে যায়। দেবীলাল মুখ্যমন্ত্রী করে যান বড় ছেলে ওমপ্রকাশ চৌতালাকে। তাঁর ছোট ছেলে রণজিৎও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে ঝামেলার জেরে পরিবারে ভাঙন ধরে। রণজিৎ দল ছেড়ে দেন, যোগ দেন কংগ্রেসে। এখন অবশ্য তিনি মনোহরলাল খট্টর মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। আর ওমপ্রকাশ দুর্নীতির দায়ে জেলে। গত বছর ওমপ্রকাশের দুই ছেলে অভয় ও অজয়ও পৃথক হয়ে যান। অজয় ছেলে দুষ্যন্তের সঙ্গে তৈরি করেছেন জননায়ক জনতা পার্টি, অভয় সামলাচ্ছেন ভারতীয় জাতীয় লোকদলের দায়িত্ব। দুষ্যন্ত এখন খট্টর মন্ত্রিসভায় উপ মুখ্যমন্ত্রী।
ঠাকরে পরিবার
বাল ঠাকরের পরিবার ভেঙে যায় প্রায় ১৫ বছর আগে। ভাইপো রাজ ঠাকরে ছিলেন কাকা বাল ঠাকরের প্রতিরূপ, উঠে আসেন শিবসেনার আগামী মুখ হয়ে। শোনা যেত, তিনিই পাবেন দলের দায়িত্ব। কিন্তু ২০০৪ সালে বালাসাহেব বড় ছেলে উদ্ধবকে দলের কার্যকরী অধ্যক্ষ করে দেন। এর পরের বছর দল ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ ঠাকরে, তৈরি করেন মহারায্ট্র সব নির্মাণ সেনা।
চন্দ্রবাবু নাইডুও ছাড়েন পরিবার
১৯৮২-তে অভিনেতা এনটি রামা রাও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। তাঁর মেয়ের বিয়ে হয় চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে। ১৯৯৪-এ নাইডু এনটিআরকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে হটিয়ে দেন, ১৯৯৫-এ নিজে হন মুখ্যমন্ত্রী। এনটিআরের স্ত্রী লক্ষ্মী এতে অসন্তুষ্ট হয়ে নিজের দল গড়েন। কিন্তু সাফল্য পাননি তিনি।
বাদল পরিবার
২০১০-এ ভেঙে যায় পঞ্জাবের বাদল পরিবার। ২০০৭ সালে প্রকাশ সিংহ বাদল তাঁর ছেলে সুখবীর বাদলকে উপ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করেন, অর্থ দফতর পান ভাইপো মনপ্রীত বাদল। কিন্তু প্রকাশ ভাইপোর বদলে ছেলেকে নিজের উত্তরসূরী ঘোষণা করায় অসন্তুষ্ট হন মনপ্রীত। ২০১০ সালে তিনি শিরোমণি অকালি দল ছেড়ে দিয়ে পিপিপি তৈরি করেন। ২০১৪-য় যান কংগ্রেসে, এখন তিনি অমরিন্দর সিংহ সরকারে মন্ত্রী।
করুণানিধি পরিবার
১৯৬৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ৫ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন এম করুণানিধি। তাঁর পছন্দ ছিলেন ছোট ছেলে স্টালিন। কিন্তু ভাইয়ের হাতে বেশি দায়িত্ব যাওয়া বড় ছেলে আলাগিরির পছন্দ হয়নি। অশান্তির জেরে করুণানিধি দল থেকে আলাগিরিকে বহিষ্কার করেন, দলের দায়িত্ব পুরোপুরি সঁপে দেন স্টালিনের হাতে।
মুলায়ম পরিবার
২০১৬-য় ভেঙে যায় মুলায়ম সিংহ যাদব পরিবার। ছেলে অখিলেশ যাদবের কিছু সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মুলায়ম সপার অধ্যক্ষ করেন ভাই শিবপাল যাদবকে। অখিলেশ তখন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি বাবার সিদ্ধান্ত মানেননি। সিংহভাগ বিধায়কের সমর্থনের জোরে দলীয় বৈঠক ডেকে নিজেকে দলীয় সভাপতির দেন তিনি।
গাঁধী পরিবার
ইন্দিরা গাঁধীর ছোট ছেলে সঞ্জয়ের স্ত্রী মানেকা ও ছেলে বরুণ গাঁধী আজ বিজেপির সাংসদ। তাঁদের পরিবারে ভাঙন নিয়ে এক সময় তীব্র জলঘোলা হয়।
সিন্ধিয়া পরিবার
মাধবরাও সিন্ধিয়ার বোন বসুন্ধরা বিজেপিতে, মা বিজয়ারাজেও বিজেপি নেত্রী ছিলেন। আবার মাধবরাওয়ের ছেলে জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস নেতা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement