৫০০ টাকার নোট ছাপার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, আর ২-৩ সপ্তাহেই সমস্যার সমাধান: শক্তিকান্ত দাস
মুম্বই: বাতিল হওয়া ঠিক কত নোট জমা পড়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে সেই সংক্রান্ত তথ্য বারবার চেক অর্থাত্ কাউন্টরচেক করে দেখতে বলল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া হিসাব অনুসারে, ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল ঘোষিত ৫০০ ও ১০০০ নোটে ১২.৪৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত সচিব শক্তিকান্ত দাশ আজ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, আরবিআই ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কগুলিতে ফেরত্ এসেছে বলে তথ্য দিয়েছে। তবে এমন বেশ কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে দুবার গণনা অর্থাত্ ডাবল কাউন্টিং হয়ে থাকতে পারে বলে মনে হয় আমাদের। সেই ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে আবার নতুন করে গণনা করতে বলা হয়েছে। দুবার গণনা এড়াতে তথ্য সংশোধন করা, চেক করা, পুনর্বার চেক করা, প্রয়োজনীয় নজরদারির একটা প্রক্রিয়া চলছে।
এদিন সচিব এও জানান, ইতিমধ্যেই ৫০০ ও ২০০০-এর নোটে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বাজারে ছেড়েছে আরবিআই। চলতি মাসের শেষ নাগাদ বাতিল হওয়া ১৫ লক্ষ কোটি টাকার ৫০ শতাংশ অর্থনৈতিক সিস্টেমে চলে আসবে। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে একযোগে তাল রেখে চলছে অর্থমন্ত্রক, আরবিআই, এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলি। পরিস্থিতি বেশ ভাল হয়েছে। এই ধারা বহাল রেখে বাজারে আরও ৫০০ টাকার নোট ঢুকলে আগামী দু-তিন সপ্তাহে আরও উন্নতি হবে বলে আমরা আশাবাদী।
সরকার আরও বেশি ৫০০ টাকার নোট ছাপার ব্যবস্থা নিয়েছে, তার সরবরাহ বাড়লে লোকে এতদিন ধরে ঘরে জমানো ২ হাজার টাকার নোট বের করবে, এও বলেন তিনি।
শক্তিকান্ত জানান, ২.২০ লক্ষের মধ্যে ২ লক্ষেরও বেশি এটিএমে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত বদল করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের নজরে এসেছে যে, কিছু ব্যাঙ্ক নিজেদের খদ্দেরদের ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য নিজেদের শাখার মাধ্যমে নগদ দিচ্ছে। আমরা তাদের পরামর্শ দিয়েছি, যাতে তারা এটিএমে পর্যাপ্ত নগদ রাখার ব্যবস্থা করে, এটিএমগুলিকে নগদহীন করে না রাখে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি আমরা।