এক্সপ্লোর
Advertisement
দেখুন, ১৭ বছর ধরে চড়াই-উতরাই যাত্রার পর আজ রাতে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে জিএসটি
নয়াদিল্লি: ১৭ বছর ধরে বিতর্ক চলার পরে অবশেষে আজ মধ্যরাতে চালু হচ্ছে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)। ফলে দেশের অর্থনীতি এবং ১৩০ কোটি ভারতীয়কে একই বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের অজস্র করের বদলে এখন থেকে সারা দেশে একটাই কর থাকবে। এটাই দেশের কর ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সংস্কার। এর ফলে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি আধুনিক হবে বলেই দাবি সরকারের।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব এবং সেটি কার্যকর হওয়ার দিকে যাত্রা
- ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ ১৯৮৬-৮৭ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় কর ব্যবস্থায় ব্যাপক বদল আনার কথা বলেন
- ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রথম জিএসটি-র কথা বলেন। এ বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়
- ২০০৩ সালে কর ব্যবস্থায় সংস্কারের জন্য বিজয় কেলকারের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে বাজপেয়ী সরকার
- ২০০৪ সালে অর্থ মন্ত্রকের তৎকালীন উপদেষ্টা কেলকার জিএসটি চালু করার সুপারিশ করেন
- ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বাজেটে বলেন, ২০১০ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে জিএসটি চালু করা হবে
- ২০০৮ সালে রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে এমপাওয়ারড কমিটি গঠন করা হয়
- ২০০৮ সালের ৩০ এপ্রিল জিএসটি-র নকশা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় এমপাওয়ারড কমিটি
- ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর জিএসটি নিয়ে বিতর্ক চেয়ে আলোচনাপত্র জমা দেয় এমপাওয়ারড কমিটি
- ২০০৯ সালেই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, দাশগুপ্ত কমিটি জিএসটি-র প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে। ২০১০ সালের মধ্যেই জিএসটি চালু করা হবে
- বিজেপি সেই সময় জিএসটি-র প্রাথমিক খসড়ার বিরোধিতা করে
- ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রক জিএসটি চালু করার উদ্যোগ নেয়
- এরপর প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে জিএসটি
- ২০১১ সালের ২২ মার্চ জিএসটি চালু করার লক্ষ্যে লোকসভায় ১১৫-তম সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পেশ করে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার
- ২০১১ সালের ২৯ মার্চ যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বাধীন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জিএসটি বিল
- এরপর অসীম দাশগুপ্ত জিএসটি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বদলে কমিটির নেতৃত্বে আসেন কেরলের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কে এম মানি
- ২০১২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন
- ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করতে গিয়ে চিদম্বরম বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার ফলে রাজ্যগুলির যে ক্ষতি হবে, তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ৯,০০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হচ্ছে
- ২০১৩ সালের আগস্টে জিএসটি বিলে উন্নতির সুপারিশ করে রিপোর্ট দেয় সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি
- ২০১৩ সালের অক্টোবরে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিএসটি-র বিরোধিতা করে বলেন, এর ফলে প্রতি বছর রাজ্যের ১৪,০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে
- ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর ১২২-তম সংবিধান সংশোধন অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা
- ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লোকসভায় ১২২-তম সংবিধান সংশোধন বিল পেশ করেন। কংগ্রেস সেই বিলের বিরোধিতা করে
- ২০১৫ সালের ৬ মার্চ লোকসভায় জিএসটি সংবিধান সংশোধন বিল পাশ হয়
- ২০১৫ সালের ১২ মার্চ রাজ্যসভায় জিএসটি সংবিধান সংশোধন বিল পাশ হয়
- ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ রাজ্যসভা ও লোকসভার যৌথ কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জিএসটি বিল
- ২০১৫ সালের আগস্টে রাজ্যসভায় বিরোধীদের বাধায় আটকে যায় জিএসটি বিল
- ২০১৬ সালের আগস্টে কংগ্রেস, বিজেপি সংবিধান সংশোধন বিল পাশের বিষয়ে সম্মত হয়
- ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট রাজ্যসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনে পাশ হয়ে যায় সংবিধান সংশোধন বিল
- ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর ১৬টি রাজ্য জিএসটি সমর্থন করে। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জিএসটি বিলে সম্মতি দেন
- ২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিল গঠনে সম্মতি দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
- ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর জিএসটি কাউন্সিল কর কাঠামোর চারটি ধাপ চূড়ান্ত করে
- চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি জেটলি ঘোষণা করেন, ১ জুলাই থেকে চালু হবে জিএসটি
- ২৭ মার্চ সংসদে জিএসটি সংক্রান্ত সব বিল পেশ করেন জেটলি। রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাশ হয়ে যায় বিলগুলি
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement