মহিলাকে ধর্ষণ, অশ্লীল ছবি বানিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে গ্রেফতার গুরগাঁও পুলিশের এসএইচও
নির্যাতিতা মহিলা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহ শুরু হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময়ই অভিযুক্ত এসএইচও-র সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
গুরগাঁও: এক মহিলাকে ধর্ষণ ও নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে গুরগাঁওয়ের এক পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবরে প্রকাশ, শুক্রবার গুরগাঁওয়ের সদর পুলিশ থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) দলবীর সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, আগামী বছর অবসর গ্রহণ করার কথা ছিল দলবীরের। ওই অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিযোগকারিণী মহিলাকে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। পাশাপাশি, অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে সেই এমএমএস ক্লিপ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। জিন্দের বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে গুরগাঁও পুলিশ। অভিযোগকারিণী আরও জানান, একটা সময় তিনি এতটাই অসহায় বোধ করছিলেন যে, স্থানীয় একটি হৃদে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। কিন্তু, এক পুলিশকর্মী তাঁকে উদ্ধার করে বোঝান অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে। নির্যাতিতা মহিলা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে জিন্দের উদানা অঞ্চলের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, দাম্পত্য কলহ শুরু হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময়ই অভিযুক্ত এসএইচও-র সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মহিলা জানান, যেহেতু দুজনই এক জেলার বাসিন্দা, তাই তিনি দলবীরকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং নিজের ফোন নম্বরও দিয়েছিলেন। মহিলার দাবি, দলবীর তাঁকে মাঝেমধ্যে ফোন করতেন। এমনকী, একটি রেস্তোরাঁয় তাঁর জন্য কাজের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন দলবীর, বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। অভিযোগে মহিলা জানান, গত ১০ জুলাই, জিন্দ থেকে গুরগাঁও যাওয়ার জন্য তিনি বাসস্টপে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় দলবীর এসে তাঁর গাড়ি করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব গ্রহণ করে মহিলা গাড়িতে উঠলে, তাঁকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই ধর্ষণ করে অভিযুক্ত এসএইচও। পরের দিন মহিলাকে তাঁর কোয়ার্টারে এসে দেখা করতে বলেন দলবীর। সেই মতো মহিলা সেখানে পৌঁছন। সেখানে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে, তাঁকে মানানোর জন্য একটি ঠান্ডা পানীয় খেতে দেন দলবীর। মহিলার অভিযোগ, ওই পানীয়তে মাদক মেশানো ছিল। ফলে, তা খাওয়ার পর তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, ওই সময় তাঁকে ফের ধর্ষণ করে সেই ছবি মোবাইলে রেকর্ড করেন দলবীর। পরবর্তীকালে, ওই ক্লিপ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার।