সোমবার সম্ভবত আস্থা-ভোট, ঠিক হতে পারে কুমারস্বামীর ভাগ্য
গত শুক্রবার, বিধানসভা সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হওয়ার পর স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দেন, আস্থাভোটের প্রক্রিয়া ওইদিনই শেষ হবে। তা কোনও অবস্থাতেই দীর্ঘায়িত করা হবে না।
বেঙ্গালুরু: মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর ভাগ্য পরীক্ষা সম্ভবত হতে পারে সোমবার। একইসঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ভবিষ্যৎও। রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, সোমবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থাভোটের সম্মুখীন হতে পারেন কুমারস্বামী। এর আগে, রাজ্যপাল বাজুভাই বালার দেওয়া দুটি ডেডলাইন অতিক্রম করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৯ তারিখ আস্থাভোট হওয়ার কথা থাকলেও, কুমারস্বামী তা করেননি। ফলত, বিদ্রোহী বিধায়কদের দলত্যাগের পর সরকার বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন কুমারস্বামী। খবরে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া আস্থাভোটের আলোচনা-প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন কুমারস্বামী। তাঁর প্রথম আশা, সুপ্রিম কোর্ট থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কংগ্রেস ও জেডিএস জানায় যে বিধানসভার প্রক্রিয়ায় রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় আশা, বিদ্রোহীদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে কয়েকজনকে ফিরিয়ে আনা। গত শুক্রবার, বিধানসভা সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হওয়ার পর স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দেন, আস্থাভোটের প্রক্রিয়া ওইদিনই শেষ হবে। তা কোনও অবস্থাতেই দীর্ঘায়িত করা হবে না। যদিও, ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য সরকার সেই কথা কতটা রাখবে, সেই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এদিকে, বিরোধী নেতা তথা কর্ণাটকের রাজ্য বিজেপি সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা রবিবার আশা প্রকাশ করেন যে, সোমবারই হচ্ছে কুমারস্বামী নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শেষদিন। তিনি বলেন, অনর্থভাবেই সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করার চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। তিনি মনে করিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ১৫ বিদ্রোহী বিধায়ককে বিধানসভায় জোর করে হাজির করানো যাবে না। এমতাবস্থায়, এখন সব চোখ সোমবারের দিকে।