হারের ভয়ে সাম্প্রদায়িক তাস খেলে মেরুকরণের কৌশল বিজেপির, তোপ জিগনেশের
ভডগাম (গুজরাত): হারের ভয়ে বাধ্য হয়ে এখন উন্নয়নের অজুহাত ছেড়ে ‘সাম্প্রদায়িক তাস’ দিয়ে ভাটারদের মেরুকরণ করতে উদ্যত হয়েছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ করলেন গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ মেবানী।
কংগ্রেসের সমর্থনে উত্তর গুজরাতের বানসকাণ্ঠা জেলার ভডগাম কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে চলতি বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন জিগনেশ। জিগনেশের দাবি, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অউ ইন্ডিয়া থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করার জন্য বিজেপি তাঁকে ‘সাম্প্রদায়িক তত্ত্বে’ আক্রমণ করছে।
তাঁর প্রশ্ন, যদি এসডিপিআই-এর সঙ্গে কোনও জঙ্গি বা জেহাদি গোষ্ঠীর যোগসাজস থেকে থাকে, তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এতদিন চুপ করেছিলেন?
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুন্রীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করেন তিনি। বলেন, ওরা আমাকে ৫০ হাজারের চেক দিয়েছে। মানুষের সেই প্রশ্ন করা উচিত, না কি জয় শাহের সম্পত্তি কীভাবে ১৬ হাজার গুণ বেড়ে গেল, তা জানতে চাওয়া উচিত।
জিগনেশের দাবি, বিজেপির কাছে কোনও কর্মসূচি নেই, তাই তারা তাঁকে অহেতুক টার্গেট করে চলেছে। বলেন, এসব কৌশল কাজে আসবে না। কারণ, গুজরাতের মানুষ জানেন, জিগনেশ একজন সৎ ব্যক্তি।
তরুণ দলিত নেতার মতে, বিজেপি স্নায়ুচাপে ভুগছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলীয় প্রধান অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সমেত শীর্ষ নেতত্বকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নামিয়েছে বিজেপি।
জিগনেশ বলেন, আমি জেতার বিষয়ে আশাবাদী। বর্তমান শাসনকালে গুজরাতে উন্নয়ন পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। তাই বিজেপি শেষ সম্বল হিসেবে সাম্প্রদায়িক তাস খেলছে। এতে ওদের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এতদিন উন্নয়ন নিয়ে বলে গিয়েছে। অথচ, প্রচারের শেষপর্বে এসে ফনা তুলে ভোটারদের মেরুকরণ করছে।