এক্সপ্লোর
Advertisement
Corona vaccine Approved: ভারতে দুটি টিকার অনুমোদন, দেখুন-ডিসিজিআইয়ের আধিকারিক বিবৃতি
করোনা মহামারী মোকাবিলায় ভারতে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। আর এর ফলে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) বলেছেন, ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ। যে কোনও ভ্যাকসিনেই সামান্য ব্যথা, জ্বর ও অ্যালার্জির মতো কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
নয়াদিল্লি: করোনা মহামারী মোকাবিলায় ভারতে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। আর এর ফলে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) বলেছেন, ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ। যে কোনও ভ্যাকসিনেই সামান্য ব্যথা, জ্বর ও অ্যালার্জির মতো কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
ভ্যাকসিনের অনুমোদন সংক্রান্ত ডিসিজিআই-র আধিকারিক বিবৃতি এখানে দেখুন-
‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি গত ১ ও ২ জানুয়ারি এ ব্যাপারে বৈঠক করেছিল। তারা আমাদের সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দান ও মেসার্স ক্যাডিলা হেল্থকেয়ারের ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেপ অনুমতি দানের সুপারিশ করেছিল। সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটিতে পালমোনোলজি, ইমিউনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফার্মাকোলজি, পিডিয়াট্রিক্সস, ইন্টারন্যাল মেডিসিনের মতো ক্ষেত্রে ডোমেন নলেজ বিশেষজ্ঞরা থাকেন’।
‘পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ১৮ বা তার বেশি বয়সের ২৩,৭৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর গবেষণার সুরক্ষিত ও প্রভাব ডেটা প্রস্তুত করেছে। এই ভ্যাকসিন ৭০.৪১ শতাংশ কার্যকরী বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সিরাম ইনস্টিটিউটকে দেশের ১৬০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সংস্থা এই ট্রায়ালের ডেটা তৈরি করেছে। বিস্তারিত বিচার বিবেচনার পর সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি এই ভ্যাকসিনে জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমতি দানের সুপারিশ করে। সংস্থা দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে চলতি ট্রায়াল অব্যাহত থাকবে’।
‘ভারত বায়োটেক আইসিএমআর ও এনআইভি (পুনে)-র সহযোগিতায় ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন (কোভ্যাক্সিন) তৈরি করেছে। এই টিকা ভেরো সেল প্ল্যাটফর্মে বিকশিত করে তোলা হয়েছে, যার দেশ ও বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও কার্যকরীতার প্রতিষ্ঠিত ট্রাক রেকর্ড রয়েছে’।
‘ফার্ম বেশ কিছু প্রাণী যেমন, ইঁদুর, খরগোশ, সিরিয়ান হ্যামস্টারের ওপর গবেষণা করে সুরক্ষিত ডেটা দিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে নন-হিউম্যান (রিসাস মেকাকস) ও হ্যামস্টার্সের ওপরও গবেষণা চালানো হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল প্রায় ৮০০ সাবজেক্টের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এর ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে, ভ্যাকসিন নিরাপদ ও খুব ভালো রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত সাড়া মিলেছে। ভারতে তৃতীয় পর্বের কার্যকারিতার পরীক্ষা ২৫,৮০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর চালানো নয় এবং এখনও পর্যন্ত সারা দেশজুড়ে ২২,৫০০ অংশগ্রহণকারীকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ’।
‘সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি ভ্যারসিনের নিরাপত্তা ও ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করেছে এবং জনস্বার্থে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে মিউট্যান্ট স্ট্রেনের সংক্রমণসংক্রান্ত পরিস্থিততে, নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের অনুমতি দানের জন্য সুপারিশ করে। সংস্থার পক্ষ থেকে দেশে যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে, তা অব্যাহত থাকবে’।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
খবর
Advertisement