মন্ত্রীদের বাকস্বাধীনতা ইস্যু: সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের
নয়াদিল্লি: বাকস্বাধীনতার দাবি তুলে তদন্তাধীন সংবেদনশীল বিষয়ের ওপর কোনও মন্ত্রী বা সরকারি কর্মী প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারেন কি না তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ইস্যুটি পাঠানোর সুপারিশ করল সু্প্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার, প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে ও ফলি এ নরিম্যানের সওয়ালের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার সম্পর্কে মানুষের কাছে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে আদালতের কাজে সাহায্য করছেন নরিম্যান। তিনিও বেঞ্চের এই পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করে জানান, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর ভুল তথ্য ও অপমানজনক কথার আদানপ্রদান হচ্ছে। যে কারণে তিনি এখন তা দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সালভে বলেন, আমি আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি যোগ করেন, একবার একটি খ্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজের মামলায় তিনি সওয়াল করেছিলেন। সালভের দাবি, সেই সময় তাঁর টুইটারে এমন মন্তব্য আসতে শুরু করে, যে তিনি ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন।
প্রসঙ্গত, এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এদিন শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। গত বছর জুলাই মাসে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে হাইওয়েতে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খান মন্তব্য করেন, ধর্ষণের ঘটনাটি একটি ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’।
শীর্ষ আদালতে সালভে বলেন, সরকারি বিষয়ে কোনও মন্ত্রী ব্যক্তিগত মতামত রাখতে পারেন না। কারণ, তাঁর মতামত সরকারের নীতিরই প্রতিফলন ঘটায়। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চান আজম খান।