জয়ললিতার মৃত্যুতে শোক রাহুল গাঁধী, বামেদের
চেন্নাই ও নয়াদিল্লি: জয়ললিতাকে দেশের বিরাট মাপের নেত্রী বলে উল্লেখ করে তামিননাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন রাহুল গাঁধী।
এদিন চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে শায়িত ছিল জয়ললিতার নিথর দেহ। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। রাহুল বলেন, আমি তামিলনাড়ুর বাসিন্দাদের সমবেদনা জানাতে চাই। জয়ললিতাজি কেবলমাত্র এই রা্জ্যের নয়, গোটা দেশের বিরাট মাপের একজন নেত্রী ছিলেন।
রাহুল যোগ করেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং দেশের প্রতিটা কংগ্রেস কর্মীর তরফে আমি তামিলনাড়ুর বড় নেত্রী এবং সর্বোপরি একজন বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারীকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এছাড়া প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, মুকুল ওয়াসনিক এবং তামিলনাড়ু কংগ্রেস কমিটি সভাপতি সু তিরুনাভুক্করসর প্রয়াত নেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
কংগ্রেসের পাশাপাশি প্রয়াত নেত্রীর স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানায় বামেরাও। এক বিবৃতি পেশ করে সিপিএম পলিটব্যুরো জানায়, জয়ললিতার নেতৃত্বে রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বহু জনপ্রিয় কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু হয়েছিল, যা তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে গভীর ছাপ রেখেছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এক টুইটবার্তায় বলেন, জনপ্রিয় নেত্রী এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার প্রয়াণে গভীর সমবেদনা।
পৃথক শোকবার্তায় সিপিআই আবার জয়ললিতাকে কঠোর পরীশ্রমী এবং দৃঢ়চেতা মহিলা হিসেবে উল্লেখ করে। বলা হয়, তিনি লড়াই করে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করেছেন।
জয়ললিতাকে বামেদের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে সিপিআই আরও লিখেছে, তিনি খোলা মনের মানুষ ছিলেন। যা ঠিক মনে করতেন, তাই বলতেন। কেউ তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে রেয়াত করতেন না। এমনকী, জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।