এক্সপ্লোর
Advertisement
সিঙ্গুর মামলা: আমরা নিজেরা কোনও জমি চিহ্নিত করিনি, আদালতে সওয়াল টাটার
নয়াদিল্লি: ন্যানো কারখানার জন্য কোথায় জমি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আমরা রাজ্য সরকারকে কিছু বলিনি। আমরা নিজেরা কোনও জমি চিহ্নিতও করিনি। আমাদের খড়গপুর ও সিঙ্গুরের কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে আমরা সিঙ্গুরকে বেছে নিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টে দাবি টাটা মোটরসের আইনজীবীর। কাল মামলার শেষ শুনানি।
বিভিন্ন পুরনো মামলার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করতে গিয়ে টাটা মোটরসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মঙ্গলবার দাবি করেন, ন্যানো কারখানা গড়ার জন্য উত্তরাখণ্ড থেকেও প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু, সম্ভাবনা এবং স্থায়ীত্বের কথা চিন্তা করে আমরা পশ্চিমবঙ্গকেই বেছেছিলাম। সিঙ্গুরে অটো হাব গড়ে উঠলে রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হত। আমাদের খড়গপুরে ৬০০ একর এবং সিঙ্গুরে হাজার একর জমির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা সিঙ্গুরকে বেছেছিলাম। কারখানার জন্য আমাদের কোথায় জমি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আমরা আগে থেকে রাজ্য সরকারকে কিছু বলিনি। বলিনি, এই জমি চাই, ওই জমি চাই। আমরা নিজেরা কোনও জমি চিহ্নিতও করিনি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গোপাল গৌড়া এবং বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চের কাছে টাটাদের আইনজীবীর আবেদন, এবিষয়ে স্পষ্ট আইন রয়েছে। আশা করি, আমরা তার সুবিধা পাব। এই প্রেক্ষাপটেই জনস্বার্থে শিল্পায়নের জন্য বেসরকারি সংস্থার হয়ে জমি অধিগ্রহণ করেছে একাধিক রাজ্য সরকার। এই মর্মে একাধিক পুরনো মামলার কথা তুলে ধরেন টাটাদের আইনজীবী।
এরপর একই অবস্থানে অনড় থেকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী সওয়াল করেন, সরকার বদলাতে পারে কিন্তু এমন কোনও আইন নেই, যেখানে বলা হয়েছে, সরকার পরিবর্তনের পর, কোনও নতুন সরকার নতুন অবস্থান নিতে পারবে না। সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার, মামলার শেষ শুনানিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের বক্তব্য শুনবে আদালত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement