করোনা মোকবিলায় প্রয়োজন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, মত আমেরিকা ফেরত ভারতীয় গবেষক চিকিৎসকের
চিকিৎসক রবীন্দ্র মেহতার মতে সরকারের উচিত হাসপাতালে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা, দ্বিতীয়ত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা।
নয়াদিল্লি: এক একটা সেকেন্ড, এক এক একটা মিনিট, এক একটা ঘণ্টা। মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ১ থেকে ১০, ১০ থেকে ১০০, ১০০ থেকে ১০০০। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি মানুষকে এই মারণ রোগের কবল থেকে বাঁচানো গিয়েছে। তবে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। পরিসংখ্যান বলছে চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের। ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আক্রান্ত ৩৪১ জন। ২৪ জন রোগীকে বাঁচানো গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, যা মারণ রোগের মোকাবিলা করতে মোক্ষম ওষুধের কাজ করবে?
ডঃ রবীন্দ্র মেহতার মতে করোনা মোকাবিলায় ভারতে এখনই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রয়োজন। তাঁর কথায়, “এখনই সময়, এরপরও দেরি করলে মৃত্যু অনিবার্য।” মানুষের উচিত সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা, মত রবীন্দ্র মেহতার। যদিও তিনি মানছেন দুর্বল অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব সহজ কাজ নয়। আর সেকারণেই সকলের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আইসোলশনে থাকা কার্যত অবাস্তব ভাবনা।
কতটা সময় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে? এর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। কেউ এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারবে না। এছাড়াও মারণ রোগ ঠেকাতে ভারতের ট্র্যাক রেকর্ডেও যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে। টিবি, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু মহামারী ঠেকানোর মতো দৃষ্টান্তমূলক নজির ভারতের নেই।
তাঁর মতে, করোনা জন্তুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে, এই ধারণা ভুল। মানুষের শরীর থেকেই মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
এই বিপর্যয়ের মোকাবিলায় সরকারের কী করা উচিত? ডঃ রবীন্দ্র মেহতার পরামর্শ, সরকারের উচিত হাসপাতালে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা, দ্বিতীয়ত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা এবং অতি অবশ্যই ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট’ তৈরি রাখা। কেন্দ্র, রাজ্য এবং জেলা স্তরে তা করা উচিত। কোভিড-১৯ ঠেকাতে এই সমস্ত সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকেল দেশকে মহামারী থেকে বাঁচানো যেতে পারে।