১০ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া মহিলাকে ধর্ষণ ১৩ জনের! গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, তদন্তে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ
‘যোগীরাজ্য’ উত্তরপ্রদেশে ফের একবার প্রশ্নের মুখে নারী নিরপত্তা। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
মিরাট: ‘যোগীরাজ্য’ উত্তরপ্রদেশে ফের একবার প্রশ্নের মুখে নারী নিরপত্তা। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইউপিতে এক গণধর্ষিতা মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে এলে তা নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। অপমানে নিজেকেই শেষ করে দিতে চায় ওই মহিলা। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহ্ত্যার চেষ্টাও করে সে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলার শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। ওই মহিলা এখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনা দিল্লি মহিলা কমিশনের নজরে আসতেই তত্পর হয় তাঁরা।
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একটি চিঠি লিখে গোটা ঘটনা সবিস্তারে জানান এবং পুলিশকে তদন্ত শুরু করার জন্য আর্জিও জানান। এরপরই হাবপুর জেলা পুলিশ একটি অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের কথা অনুযায়ী নির্যাতিতাকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। অর্থের বিনিময়ে যিনি ওই মহিলার ‘মালিকানা’ পেয়েছিলেন তিনি তাকে বাধ্য করেছিলেন বাড়ি বাড়ি কাজ করতে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির বাজারে অনেক দেনা ছিল। সেই দেনা শোধ করতেই লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করে দিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তবে ওই মহিলা কোনও ভাবেই রাজি হননি। নির্যাতিতার অভিযোগ এরপরই বাবুগড় সরপঞ্চ ও আরও ১৩জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। থানায় নির্যাতনের কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অপমানে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে নির্যাতিতা।
যদিও হাবপুরের সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যশবীর সিংহ পিটিআই-কে জানিয়েছেন, নির্যাতিতা নিজে আত্মহ্ত্যা করতে চেয়েছিলেন নাকি নপথ্যে রয়েছে অন্য কেউ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে গণধর্ষণের অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তিনি। উল্টে তাঁর দাবি, ওই মহিলা আগেও ২বার বিয়ে ভেঙেছেন। শেষ পর্যন্ত মোরাদাবাদের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। আর ধর্ষণের ঘটনাটিও নাকি পাঁচ বছর পুরনো। ভিন্ন সময়ে ভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন এসপি যশবীর সিংহ।