এক্সপ্লোর
নীরবতাই ধর্ষিতার শারীরিক সম্পর্কে সম্মতির প্রমাণ নয়, রায় দিল্লি হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি: ধর্ষণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহিলা যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে সেটাকেই শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে সম্মতির প্রমাণ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে না। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঙ্গীতা ধিঙ্গরা সেহগল। এই মামলায় ধর্ষিতার নীরবতার কথা উল্লেখ করে অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে ধর্ষণকারীর ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছে আদালত। মুন্না নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ১৯ বছরের এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজের খোঁজে দিল্লি আসেন। তাঁকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হরিয়ানার পানিপথে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে মুন্না। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে খুনের হুমকিও দেয় সে। পরে ওই তরুণীকে নয়ডায় বন্ধু সুমন কুমারের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় মুন্না। পরে সে ওই তরুণীকে শাস্ত্রী পার্কের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সুমন যখন জানতে পারে, তার অনুপস্থিতিতে মুন্না ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে, তখন সে মুন্নার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। সুমনই পুলিশে খবর দেয়। ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত মুন্নার ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুন্না। তবে তার আর্জি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, সম্মতি ছাড়া যে কোনও ধরনের শারীরিক সম্পর্কই ধর্ষণ। তাই মুন্নার কারাদণ্ডের সাজা বহাল থাকবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















