এক্সপ্লোর
Advertisement
কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয় কেন, রাজ্যসভায় প্রশ্ন তৃণমূলের
নয়াদিল্লি: দলীয় সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে রাজ্যসভা থেকে একদিনের জন্য বহিষ্কারের প্রতিবাদে ওয়াক আউট তৃণমূলের। গতকাল রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানো সত্ত্বেও ৩৩ জন কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপি তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভরত কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে প্রশ্ন তুলেছিল।
গতকাল অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুখেন্দু। তিনি নাম না করেই কার্যত গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ করেছিলেন। চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির নিষেধ স্বত্ত্বেও বারবার প্রসঙ্গটি তুলে সরকারের বিবৃতির দাবি করলে সুখেন্দুকে দিনের মতো সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান রাজ্যসভার ২৫৫ ধারা প্রয়োগ করে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য দিনের মতো সুখেন্দুকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিন সভা শুরু হওয়া মাত্রই বিষয়টি উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলেন, সুখেন্দু নিজের চেয়ারে বসেই চপারকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ডেরেক গতকালের রাজ্য বুলেটিন পড়তে শুরু করেন। ওই বুলেটিনে ‘বিধিনিয়ম ভেঙে বিশৃঙ্খল আচরণ এবং রাজ্যসভার রীতি লঙ্ঘনের’ জন্য ৩৩ জন কংগ্রেস সাংসদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সভার কাজে ব্যাঘাত ঘটান বলেও বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে। ডেরেক বলেন, একজন নিজের চেয়ারে বসে বক্তব্য জানাচ্ছিলেন এবং অন্যরা ওয়েলে নেমে। এই অবস্থায় চেয়ারম্যানের রুলিং সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা জানতে চান ডেরেক। ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইনের চোখে সবাই সমান।
ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন তখন বলেন, চেয়ারম্যানের ওই নির্দেশ সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। চেয়ারম্যানের রুলিং নিয়ে প্রশ্ন করা যায় না বা আলোচনা করা যায় না।
এরপরই ডেরেক জানান, এই ঘটনায় তাঁরা দুঃখিত। তাই ওয়াক আউট করছেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement