অবৈধভাবে নির্মিত মন্দিরে প্রার্থনা করলে তা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছয় কি? প্রশ্ন দিল্লি হাইকোর্টের
নয়াদিল্লি: ফুটপাথে অবৈধভাবে নির্মিত মন্দিরে প্রার্থনা করলে তা কি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছবে? একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাইকোর্ট।
মধ্য দিল্লির করোল বাগে একটি ১০৮-ফুটের হনুমান মূর্তির চারপাশে জবরদখলকারী উচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্করের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ফুটপাথে অবৈধভাবে জবরদখল করে রাখা জায়গা থেকে প্রার্থনা করলে কি তা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছবে? এর মধ্যে পবিত্রতা কোথায়? আদালতের হুঁশিয়ারি, মন্দির সহ যে কোনও অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুনানিতে দিল্লি সরকারের পুর্ত দফতরের কৌঁসুলি সত্যকাম আদালতে জানান, সড়ক ও ফুটপাথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ পুরসভার আওতাধীন। এরপরই উত্তর দিল্লি পুরসভাকে আদালত নির্দেশ দেয়, ওই অঞ্চলে সড়ক ও ফুটপাথ নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরের থেকে নথি পেশ করতে। তিনি জানান, মূর্তির একটি পা রয়েছে ফুটপাথে, অন্যটি রয়েছে দিল্লি উন্নয়ন নিগমের জায়গায়।
এরসঙ্গেই, ওই এলাকায় কীভাবে অবৈধ পার্কিং ও দোকানপাট তৈরি হল, তা ব্যাখ্যা চেয়ে আধিকারিকদের প্রশ্ন করে আদালত। বেঞ্চ জানায়, ডিডিএ ও পুরসভার যে আধিকারিকদের আমলে এই অবৈধ নির্মাণ উঠে এসেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। সরকারি কৌঁসুলি জানান, মন্দির ও মূর্তিটির রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি ট্রাস্ট। তাদের ব্যাঙ্কের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।