NCERT History Distortion Allegations: ‘দেশভাগের অপরাধী’ কারা? নেহরু-মহাত্মাকে নিয়ে অপতথ্য? ভুল ইতিহাস পড়ানোর অভিযোগ, ফের বিতর্কে NCERT
NCERT Module Controversy: বিশেষ ‘মডিউলে’ দেশভাগের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠছে NCERT-র বিরুদ্ধে।

নয়াদিল্লি: ফের পড়ুয়াদের বিকৃত ইতিহাস পড়ানোর অভিযোগ। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে আবারও কাঠগড়ায় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT). দেশভাগের ভয়াবহতার স্মরণে ২০২১ সাল থেকে ১৪ অগাস্ট দিনটিকে ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ‘মডিউলে’ দেশভাগের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠছে NCERT-র বিরুদ্ধে। (NCERT History Distortion Allegations)
NCERT-র বিরুদ্ধে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে বার বার। এবার ষষ্ঠ থেকে অষ্টম এবং নবম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য প্রকাশিত বিশেষ ‘মডিউলে’ ভুল ইতিহাস পড়ানোর অভিযোগ। পাঠ্যবই এবং ‘মডিউল’ পৃথক । কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রকাশিত তথ্যসমূহকে ‘মডিউল’ বলা হয়। যে মডিউলটিকে ঘিরে বিতর্ক, সেটি ১৪ অগাস্ট ‘দেশভাগের ভয়বহতা স্মরণ দিবসে’ প্রকাশিত হয়, যাতে দিনটির গুরুত্ব বোঝানো যায় পড়ুয়াদের, পাঠ্যবইয়ের বাইরে সেই নিয়ে আলোচনা হয়, তর্ক-বিতর্ক হয় এবং প্রজেক্টে যুক্ত করা যায় সকলকে।। ইংরেজি এবং হিন্দি, দুই ভাষাতেই প্রকাশ করা হয়েছে বিতর্কিত ‘মডিউলটি’। তব তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশস্তি চোখে পড়েছে। (NCERT Partition Module Controversy)
NCERT-র এই বিশেষ ‘মডিউল’টির যে অংশটি নিয়ে বিতর্ক, তার নাম ‘Culprits of the Partition’, অর্থাৎ ‘দেশভাগের অপরাধী’। ওই অংশ বলা হয়েছে, ‘দেশভাগ কারও একার দ্বারা সম্পন্ন হয়নি। বরং তিনটি সম্মিলিত শক্তির দ্বারা সম্পন্ন হয়। মহম্মদ আলি জিন্না দেশভাগের ভাষ্য তৈরি করেছিলেন; কংগ্রেস দেশভাগ মেনে নিয়েছিল; এবং মাউন্টব্যাটেনকে দেশভাগ রূপায়িত করতে পাঠানো হয়েছিল’।
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি উক্তিও তুলে ধরে হয়েছে। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে নেহরুর বক্তব্যের অংশ তুলে ধরা হয়েছে, যাতে বলা হয়, ‘আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, যেখানে হয় বিভাজন মেনে নিতে হবে, অথবা সংঘাত এবং বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে। দেশভাগ খারাপ। কিন্তু ঐক্যের চেয়েও গৃহযুদ্ধের মূল্য আরও বেশি হবে’। ১৯৪০ সালের লাহৌর চুক্তির উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, ‘মহম্মদ আলি জিন্নাহ বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলিমরা, দুই পৃথক গ্রামের বাসিন্দা, তাঁদের দর্শন, সামাজিক রীতিনীতি, সাহিত্য সব আলাদা’। NCERT-র মডিউলে দাবি করা হয়েছে, ইংরেজরা ভারতকে অবিভক্তই রাখতে চেয়েছিল, ডোমিনিয়নের মর্যাদা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সহিংসভাবে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি। কংগ্রেস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
বিশেষ ‘মডিউলটি’তে আরও সর্দার বল্লভভাই পটেলকে উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, ‘ভারত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। গৃহযুদ্ধের চেয়ে দেশভাগ অনেক ভাল’। মহাত্মা গাঁধীর অবস্থান নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘মহাত্মা দেশভাগের বিরোধিতা করলেও সহিংসভাবে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি’। NCERT-র দাবি, শেষ পর্যন্ত, জওহরলাল নেহরু এবং সর্দার পটেল দেশভাগ মেনে নেন। ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন কংগ্রেস ওয়র্কিং কমিটিকে তা মেনে নিতে রাজি করান মহাত্মা।
মাউন্টব্যাটেন সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘১৯৪৮ সালের জুন মাসে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে বলে ঘোষণা করেন মাউন্টব্যাটেন। পরবর্তীতে তা এগিয়ে এনে ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাস করা হয়। ১৫ অগাস্ট তাঁর ভারতে না পাকিস্তানে, তা বুঝতেই পারেননি বহু মানুষ’। NCERT-র দাবি, দেশভাগ ভারতে ঐক্যে চিড় ধরায়, সীমান্ত সংঘাত দেখা দেয়, যা থেকে গণহত্যা হয়, ঘরছাড়া হন বহু মানুষ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিশ্বাস জন্ম নেয়, পঞ্জাব এবং বাংলার অর্থীনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের সমাজ, অর্থনীতি, জনবিন্যাস দেশভাগের জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে সন্ত্রাস উপত্যকাকে কাবু করে ফেলে।
দেশভাগের 'দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতি' বর্ণনা করতে গিয়ে NCERT দাবি করেছে, আজও বাইরের শত্রুর আঘাত সহ্য করতে হচ্ছে ভারতকে, সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সাম্প্রদায়িক বিভাজন বয়ে চলেছে ভারত। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আজও শত্রুতা, সন্দেহের পরিবেশ রয়েছে, যার দরুণ দেশভাগ হয়েছিল। NCERT দেশভাগকে সরাসরি কাশ্মীর সঙ্কটের জন্য দায়ী করেছে। এমনকি দেশভাগের দরুণই বিদেশি শক্তিরা পাকিস্তানকে সমর্থন করছে এবং ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে, যার দরুণ ভারতকে সামরিক ক্ষয়ক্ষতি বহন করতে হচ্ছে এবং বিদেশনীতিতেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তাদের।
“आग लगा दीजिये इस किताब को अगर हिंदू महासभा और मुस्लिम लीग की जुगलबंदी की बात इसमें नहीं है”
— Mahima Singh (@MahimaSingh7) August 16, 2025
“इतिहास के सबसे बड़े विलन #RSS हैं”
कैसे?
श्री @Pawankhera को अवश्य सुनिए।#NCERT में पन्ने बेशक जोड़ दिए, #भाजपा अपने इतिहास के 1938,1940,1942 आदि काले पन्नों को मिटा नहीं सकती। pic.twitter.com/6JrkOnJ1GN
বিষয়টি সামনে আসতেই NCERT-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “এই তথ্য় পুড়িয়ে ফেলা উচিত। কারণ এটা সম্পূর্ণ অসত্য। হিন্দুি মহাসভা এবং মুসলিম লিগের আঁতাতের জন্যই দেশভাগ হয়েছে। RSS দেশের জন্য বিপজ্জনক। ১৯৩৮ সালে হিন্দু মহাসভাই প্রথম দেশভাগের ভাষ্য তৈরি করে। ১৯৪০ সালে সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটান জিন্না।” এই গোটা বিতর্কে আবারও NCERT-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পড়ুয়াদের ভুল ইতিহাস পড়িয়ে NCERT-র মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
শিক্ষাবিদদের একাংশও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেব। অধ্যাপিকা রুচিকা শর্মার মতে, "শধুমাত্র জিন্না, মাউন্টব্যাটেব এবং কংগ্রেসকে দায়ী করা অন্যায়। চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে হিন্দুমহাসভার উত্থানও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিনায়ক দামোদর সাভারকর নিজের লেখালেখিতে হিন্দুস্তানকে হিন্দুদের দেশ বলে উল্লেখ করেছিলেন-যার দরুণ মুসলিমদের মনে হয়েছিল, স্বাধীন ভারতে তাঁদের অধিকার বলে কিছু থাকবে না।" তাই এত সহজে কাউকে খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরা অনুচিত বলে মত তাঁর।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















