Nepal Protest: তরুণদের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ কাঠমাণ্ডু, জনরোষ থামাতে পুলিশের গুলি, মৃত্যু মিছিল ! নেপালের এই পরিস্থিতির নেপথ্যে কী ?
Nepal Massive Protest: নেপালে বিক্ষুব্ধ তরুণ-তরুণীরা কার্ফু ভেঙে সংসদে হানা দিয়েছে, নেপালের রাজধানীতে মোতায়েন সেনার বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে পরিস্থিতি।

Nepal Protest Explainer: প্রতিবাদে আর জনরোষে বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি নেপালের কাঠমাণ্ডুতে। রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। তরুণ প্রজন্মদের তুমুল প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ মিছিল দমন করতে সরকারের নির্দেশে রাস্তায় নেমেছে সেনা, মিছিলের উপর চলেছে কাঁদানে গ্যাস। আর পুলিশের গুলিতে ইতিমধ্যেই ১৪ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কেন এই বিশৃঙ্খলা দেখা দিল নেপালে ? কী কারণ রয়েছে এই জনরোষের আড়ালে ?
নেপালে বিক্ষুব্ধ তরুণ-তরুণীরা কার্ফু ভেঙে সংসদে হানা দিয়েছে, নেপালের রাজধানীতে মোতায়েন সেনার বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে পরিস্থিতি। আর এর প্রতিরোধেই গুলি চালিয়েছে সেনা-পুলিশ, মৃত্যু হয়েছে বহু বিক্ষোভকারীর, এই সমস্ত কিছু আড়ালে রয়েছে নেপাল সরকারের সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত। নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে রাজধানীতে একত্রিত হয় আমজনতা, বিশেষত জেন-জি সম্প্রদায়।
জানা গিয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির নিজের শহর দামকে বিক্ষোভের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পোখরায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কার্ফু জারি করেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে সমস্ত বিধিনিষেধ ভেঙে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
গত শুক্রবার থেকেই কোনও বিশদ ব্যাখ্যা ছাড়াই নেপালে সরকারের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স সহ মোট ২৬টি সমাজমাধ্যম অ্যাপ। এই অ্যাপগুলি আর অ্যাক্সেসযোগ্য নয় নেপালে। এগুলি অনিবন্ধীত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই প্ল্যাটফর্মগুলির উপর ভিত্তি করে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর পেশা-জীবিকা চলে। তাদের ব্যবসা এগুলির উপরে নির্ভরশীল। এবিপি কাঠমাণ্ডুকে এক বিক্ষোভকারী ছাত্র জানান যে সরকার ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করতে চাইছে। আগে সকলেই এই সমস্ত সমাজমাধ্যম অ্যাপে নিজের কথা বলতে পারতেন, সেটায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস জানিয়েছেন, "নেপালে কিছু হলে তার আঁচ ভারতে এসে পড়বেই। নেপালের সঙ্গে যোগ আছে আইসিসের, যোগ আছে চিনেরও। ফলে নেপালে সরকার বদলালে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতকেও উপযোগী সামরিক ও রাজনৈতিক পন্থা অবলম্বন করতে হবে। নেপালে এই ঘটনা কে করল, কেন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়, খতিয়ে দেখতে হবে"
নেপালের তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই দাবি এই সিদ্ধান্ত হঠকারী এবং স্বৈরাচারী। সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিহিত চান সকলে। সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাইরের দেশেও আন্দোলন হয়েছে এবং সরকার হয়ত এই ভয়েই ভীত যে সেই আন্দোলন এই দেশেও হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন কাঠমান্ডুর জনৈক বাসিন্দা। এর আগেও নেপাল সরকার অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করেছিল। জুলাই মাসে টেলিগ্রাম অ্যাপে অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছরের অগাস্ট মাসে টিকটকের উপর থেকে যদিও এখানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।























