গরিবদের খাবার বিতরণের সময় সেলফি নয়, নচেৎ ব্যবস্থা, সরকারি নির্দেশ কোটায়
করোনা-মোকাবিলায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি
জয়পুর: করোনা-মোকাবিলায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি। অন্তত রাজস্থানের কোটা শহরের প্রশাসন তেমনটাই মনে করছে। লকডাউনের বাজারে যেখানে অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্দি, সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে এই বিপর্যয়ের সময়ে অন্যদের সাহায্য করছেন।
এখানেই বিপদ আঁচ করে কোটা প্রশাসন সাহায্যকারীদের উদ্দেশে বলেছে, নিঃসন্দেহে সাহায্য করে মানুষের উপকার করছেন করুন। কিন্তু, কোনওভাবে যেন খাবার বিতরণের সময় সেলফি তোলা যাবে না এবং সর্বদা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
কোটাতে ১০ জন কোভিড ১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছেন। এরপরই, জেলা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, সোশ্যাল ডিস্টান্সিং বাধ্যতামূলকভাবে পালন করতে হবে। খাবার বণ্টনের সময় সেলফি তোলার ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কালেক্টর।
খবরে প্রকাশ, কোটাতে লকডাউন শুরু হতেই, কিছু মানুষ গরিবদের খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ওই বণ্টন প্রক্রিয়ার ছবি তুলে পরে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। জেলা কালেক্টর জানান, এটা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা পরিপন্থী। এমন কেউ করলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের মোকাবিলা করতে হলে গোটা রাজ্যে ভিলওয়ারা-মডেল চালু করতে হবে। তিনি সমস্ত জেলাকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠিয়েছেন। এই নিয়ে কোটা চাপে রয়েছে। কারণ, সেখানে লকডাউন বেশ ঢিলেঢালা রয়েছে।
জয়পুরে ১১৮ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। প্রশাসনের আশঙ্কা, এমনটা হলে, শীঘ্রই জয়পুরের পর রাজ্যের দ্বিতীয় করোনা হটস্পট হয়ে উঠবে কোটা। ইতিমধ্যেই, নতুন ১০ জন সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে, রাজস্থানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৩।