Nobel Prize: মারণ রোগের চিকিৎসায় ইমিউনো থেরাপি নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ! নোবেল পাচ্ছেন আমেরিকা-জাপানের ৩ বিজ্ঞানী
Nobel Prize 2025 For Medicine: চিকিৎসায় এবারের নোবেল পাচ্ছেন আমেরিকা-জাপানের ৩ বিজ্ঞানী।

কলকাতা: ক্যানসারের মতো মারণ রোগের চিকিৎসায় ইমিউনো থেরাপি নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার। চিকিৎসায় এবারের নোবেল পাচ্ছেন আমেরিকা-জাপানের ৩ বিজ্ঞানী। নোবেল পাচ্ছেন আমেরিকার বিজ্ঞানী মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের সাইমন সাকুগুচি।
আরও পড়ুন, 'ম্যানমেড', মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা শমীক বললেন, 'তৃণমূলমেড বন্যা' !
মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার। চিকিৎসাক্ষেত্রে নোবেল পাচ্ছেন আমেরিকার বিজ্ঞানী মেরি ই ব্রুঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের সাইমন সাকুগুচি। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা নিয়ে গবেষণার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন মেরি ই ব্রুঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও সাইমন সাকুগুচি। কী কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজ শরীরের অঙ্গকে আক্রমণ করতে পারে না, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে PhD করার পরে মেরি ই ব্রুঙ্কো বর্তমানে সিয়াটেলে ইন্সটিটিউট ফর সিস্টেম্স বায়োলজিতে সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত।
সাইমন সাকাগুচি PhD করেন জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারে অধ্যাপনা করেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে PhD করেন ফ্রেড রামসডেল। তিনি এখন সান ফ্রান্সিসকোয় সোনোমা বায়োথেরাপিউটিক্সে বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা হিসাবে কর্মরত। ১৯০১ সালে প্রথম বার আলফ্রেড নোবেলের নামাঙ্কিত এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। মারা যাওয়ার ঠিক এক বছর আগে একটা উইল করেছিলেন আলফ্রেড। সেই উইলে একটি ফাউন্ডেশন গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। বলে যান, এই ফাউন্ডেশনের কাজ হবে প্রতি বছর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাবিদ্যা, সাহিত্য আর শান্তির জন্য সেই বিষয়ের সেরা ব্য়াক্তিকে পুরস্কৃত করতে হবে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।

এবিপি আনন্দ-কে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, 'ক্যানসারের বিরুদ্ধে বডির নিজস্ব ইমিউনিটি কাজ করতে পারে না। টি রেগুলেটারি সেল (T Regulatory Cells) খারাপ কাজ করে। কিন্তু এই টি রেগুলেটারি সেল যে উৎস , যে গোত্র, যে জিন, তার নাম ফক্স পি থ্রি। এই ফক্স পি থ্রি (Fox P3) জিনটাকে আবিষ্কারক হচ্ছেন এরা। এবং এরাই প্রথম দেখালেন, ফক্স পি থ্রি জিন বলে, ইদুরের মধ্যে মিউটেশন হওয়ার জন্য বডিতে, আনকন্ট্রোটলড হাইপার ইমিউন রিয়েকশন হতে পারে।'

অপরদিকে, চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, তিনজন যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন, এই কাজটা তারা করে যাচ্ছেন, গত ২০ বছর ধরে। আমাদের শরীরের মধ্যে একটা সেন্ট্রাল ইমিউনিটি সিস্টেম আছে। যেটা আমাদের বোনম্যারোর মধ্যে আছে। লিম্ব টিস্যুর মধ্যে আছে। যেটা কিনা বাইরের সমস্ত ইনফেকশন, এবং আক্রমণ থেকে, আমাদের সেন্ট্রাল ইমিউনিটি দিয়ে আমাদের শরীরকে, রক্ষা করছে। আজকে টি রেগুলেটারি সেলের রিসার্সে সে আজকে নোবেল প্রাইজ পেলেন । আজকে এর থেকে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আরও অনেক বেশি গবেষণা হবে। যাতে ডায়াবেটিসের মতো , থাইরয়েডের মতো,আমাদের কানকটিভ টিস্যু ডিসঅর্ডারের মতো, মারাত্মক সমস্ত অসুখকে, আমরা একেবারে নির্মূল করতে পারি।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















