PM Modi at G7 Summit session: জি-৭ সামিটে ভারত, 'One Earth, One Health'-এর বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
অতিথি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জি-৭ ভার্চুয়ালি যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
নয়াদিল্লি: করোনা আবহেই দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির তিন দিনের সামিট। জি ৭-এর সদস্য নয় ভারত। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমন্ত্রণ পেয়েছে দেশ। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই অতিথি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জি-৭ সামিটে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সেখানে তিনি 'One Earth, One Health' বিষয়টি তুলে ধরেন।
Participated in the @G7 Summit session on Health. Thanked partners for the support during the recent COVID-19 wave.
India supports global action to prevent future pandemics.
"One Earth, One Health" is our message to humanity. #G7UK https://t.co/B4qLmxLIM7
">
প্রধানমন্ত্রীর দফতর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এদিনে দেশের একাধিক কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। মহামারি আবহে ভারতের স্বাস্থ্যনীতি, শিল্প, বানিজ্যিক ক্ষেত্রে সরকারের অবদানের পাশাপাশি উন্মুক্ত ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, টিকাকরণ নীতি পরিচালনা সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। অতিমারি আবহে অন্যান্য দেশ ভারতকে যেভাবে সাহায্য করেছে সে বিষয়েও সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, রবিবার বাকি দুটি পর্বেও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছাড়াও এই সামিটে অংশ নিতে স্ত্রী জিলকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটেনে হাজির হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীরাও উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। এ ছাড়াও ভারতের পাশাপাশি অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানরা।
গোড়া থেকেই অতিমারি রোধে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেই এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার টিকাকরণ-সহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সামিটে আলোচনা হবে। বিশ্বজুড়ে অতিমারির আবহে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার দিকটিকেই মূলত প্রাধান্য দেওয়া হবে এখানে। পাশাপাশি আলোচনা করা হবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অনুজীবী রোধে ব্যবস্থা, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, ডিজিটাল হেল্থ ইত্যাদি বিষয়েও।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত উন্নত অর্থনৈতিক বিশ্বের এই গোষ্ঠীর সামিটে আমন্ত্রিত ছিলেন মোদি। তবে এ বছর এই জোটের অভিমুখ যে চিন-বিরোধী, তা স্পষ্ট। তাই অতিমারি আবহে এ বারের সামিটটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।