National committee on Covid19 : রক্ত জমাটের ঘটনা 'হাতেগোনা', কোভিশিল্ডের প্রভাব নিয়ে দাবি কমিটির
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে আশার মাঝেই বীজ বুনছিল আশঙ্কা। যদিও দেশবাসীর এই আশঙ্কা দূর করল ভ্যাকসিনের প্রভাব পর্যবেক্ষণকারী ন্যাশনাল কমিটি।
নয়া দিল্লি : ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে আশার মাঝেই বীজ বুনছিল আশঙ্কা। যদিও দেশবাসীর এই আশঙ্কা দূর করল ভ্যাকসিনের প্রভাব পর্যবেক্ষণকারী ন্যাশনাল কমিটি।
সম্প্রতি সরকারের কাছে ভ্যাকসিনের বিপরীত প্রভাব নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে Adverse Event Following Immunisation (AEFI) ন্যাশনাল কমিটি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের কাছে এই রিপোর্ট জমা দেয় তারা। যেখানে বলা হয়, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রক্তক্ষরণ বা রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা গুটিকয়েক। টিকাকরণের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। ব্রিটেনের তুলনায় ভারতে এই সংখ্যাটা খুবই কম।
সম্প্রতি দেশে ভ্যাকসিনের বিপরীত প্রভাব নিয়ে ৪৯৮ জনের কেস স্টাডি করে (AEFI) কমিটি। যার মধ্যে ২৬টি কেসে সম্ভাব্য রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি নজরে আসে তাদের। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই সংখ্যাটা ১০ লক্ষ ডোজের মধ্যে ০.৬১ জন। ন্যাশনাল কমিটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে জিনগতভাবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা বা থ্রম্বোএমবোলিক ইভেন্ট হওয়ার সংখ্যা কম। এক্ষেত্রে পশ্মিমী দেশগুলির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভারত।
Adverse Event Following Immunisation (AEFI) কমিটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৩ এপ্রিলের মধ্যে দেশে ৭,৫৪,৩৫,৩৫১ টি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কোভিশিল্ডের ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬,৮৬,৫০,৮১৯টি। পাশাপাশি কোভ্যাকসিনের ৬,৭৮,৪,৫৬২ টি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির তরফে ভ্যাকসিনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, টিকাকরণের পর থেকে মোট ২৩ হাজার বিপরীত প্রভাবধর্মী ঘটনা রেজিস্টার হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। কোউইন অ্যাপে ৭৫৩টা জেলার মধ্যে ৬৮৪টা জেলা থেকে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট আসে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে AEFI কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছে, এই বিশাল সংখ্যক বিপরীতধর্মী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ৭০০ কেসে সিরিয়াস হিসাবে ধরছে তারা (যা ১০ লক্ষের মধ্যে ৯.৩ কেসেস)।
'ইউকে'স রেগুলেটর অ্যান্ড মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ রেগুলেটরি অথরটি' অনুযায়ী, ব্রিটেনে প্রতি ১০ লক্ষে থ্রম্বোএমবোলিক ইভেন্টের সংখ্যা ৪জন। ভারতের বুকে সেই সংখ্যাটা AEFI কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ লক্ষ ডোজের মধ্যে ০.৬১ জন। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে কোভিশিল্ডের প্রভাব নিয়ে চিন্তার বিষয়টা নগন্য বলে দাবি করেছে AEFI কমিটি।