Anindya Chatterjee Refuses Padma Shri : "কালাম সাহেব আমার ভক্ত ছিলেন", এবার 'পদ্মশ্রী' প্রত্যাখ্যান পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের
Padma Awards 2022 : তিনি বলন, আমি সাধনা-গানবাজনা করে আজ এই জায়গায় এসেছি। আবদুল কালাম সাহেব আমার ভক্ত ছিলেন
কলকাতা : কেন্দ্রের‘পদ্মশ্রী’ (Padma Shri) সম্মানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এবার পদ্মশ্রী ‘প্রত্যাখ্যান’-এর কথা জানালেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)।
তিনি বলন, আমি সাধনা-গানবাজনা করে আজ এই জায়গায় এসেছি। আবদুল কালাম সাহেব আমার ভক্ত ছিলেন। আমাকে সঙ্গীত অ্যাকাডেমি দেওয়া হয়েছে আজ থেকে ২২ বছর আগে। তাই আমাকে ঠিকমতো দেওয়া হয়নি, সেই জন্য প্রত্যাখ্যান করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে ফোন আসে, গ্রহণ করছি না।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ (Padma Shri) সম্মানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ও (Sandhya Mukhopadhyay)। বয়স ৯০ পেরিয়েছে। তাঁর চেয়ে কম বয়সিরাও সম্মান পেয়ে গিয়েছেন। তাই এখন আর সম্মানের প্রয়োজন নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফোনেই জানিয়ে দিয়েছেন বলে শিল্পীর পরিবার সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন ; এত কাল পর সম্মান, মোদি সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের
মঙ্গলবার ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর এ দিন শিল্পীর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ফোন আসে দিল্লির তরফে। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে তাঁকে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করছেন। এই সম্মান নিতে অপারগ তিনি।
এদিকে আজ 'পদ্মভূষণ' প্রত্যাখ্যান করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যানের কথা জানান তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য।
তিনি জানান, পৌনে ২টো নাগাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফোন করা হয়েছিল। তিনিই ফোন ধরে বুদ্ধবাবুকে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে কনফিউসন ছিল, হয়তো এনিয়ে কোনও কাগজ আসবে। সেই অনুযায়ী তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ, ফোনের ওপর ভিত্তি করে তাঁরা বক্তব্য রাখবেন না। কথা বলার পরেই তাঁরা জানতে পারেন, পদ্ম-পুরস্কারের তালিকা বের করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংবাদও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনি মীর ভট্টাচার্যকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন।