Opposition Walks Out: মোদির ভাষণ চলাকালীন বিরোধীদের ওয়াক আউট
Parliament No Confidence Motion: মোদির ভাষণ চলাকালীনই বিরোধীদের ওয়াকআউট। যদিও তাতে কিছু আমল দেননি প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী শূন্য লোকসভায় কী বললেন মোদি ?
নয়াদিল্লি: মোদির ভাষণ চলাকালীনই বিরোধীদের ওয়াকআউট। মূলত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবকেই এদিন ব্যুমেরাং করে ফেরালেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আলোচনায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছাই নেই বিরোধীদের।অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কতকিছুই না বলেছে বিরোধীরা, জবাব তো শুনতে হবেই।' 'মণিপুর নিয়ে শোনার ধৈর্যই নেই বিরোধীদের', কটাক্ষ মোদির।
যদিও তাতে কিছু আমল দেননি প্রধানমন্ত্রী। বরং উল্টে তুলোধনাই করেছেন তিনি। এরপর বিরোধী শূন্য লোকসভায় মণিপুর নিয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুর-হিংসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। মণিপুরে শান্তির সূর্যোদয় হবেই। দেশ মণিপুরের পাশে আছে, দোষীরা শাস্তি পাবেই। মণিপুর আবার উন্নয়নের রাস্তায় ফিরবে', বলে আশ্বাসের সুর শোনা যায় মোদির মুখে।
প্রসঙ্গত, মণিপুরে হিংসা অব্যহত। চলতি সপ্তাহেই ফের এলোপাথারি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আতঙ্কে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। হামলাকারীদের সরাতে গিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ চলে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি কাংপোকপি জেলায়, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর দুটি বাসে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মূলত গত তিন মাস ধরে হিংসার আগুন জ্বলছে মণিপুরে। অগ্নিসংযোগ, লুঠ এবং নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গোটা হিংসাকাণ্ডে এখনও অবধি, ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার নির্মম ঘটনা অলিতে গলিতে। তবে গত ৪ মে যাবতীয় নৃশংসতার সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। দুই মহিলাকে গণধর্ষণের পর বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দৃশ্য ভাইরালও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, 'দিল্লিতে একসঙ্গে, অথচ বাংলায় TMC-র বিরুদ্ধেই সিপিএম-Congress', খোঁচা মোদির
এদিন অতীত টেনে আরও একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন,' ৫ মার্চ, ১৯৬৬: মিজোরামে অসহায় মানুষের ওপর বায়ুসেনা দিয়ে হামলা চালিয়েছিল কংগ্রেস। সেজন্য এখনও ৫ মার্চ শোকপালন করে গোটা মিজোরাম। সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। নিজেদের কাজের জন্যই দেশবাসীর আস্থা হারিয়েছে কংগ্রেস। ১৯৬২ সালে নেহরুর রেডিও-বার্তা আজও অসমবাসীর কানে বাজে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ কংগ্রেসের।
তিনি আরও বলেন,' তবে, উত্তর-পূর্ব ভারত আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্যার জন্য একমাত্র দায়ী কংগ্রেস। মণিপুর নিয়ে যত কম রাজনীতি করব, তত তাড়াতাড়ি শান্তি ফিরবে। ভোটের জন্য নয়, উন্নয়নের জন্যই উত্তর-পূর্ব ভারতকে প্রাধান্য দিচ্ছি আমরা। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' শুধু স্লোগান নয়, এটাই আমাদের মন্ত্র', বলেন প্রধানমন্ত্রী।