3 arrested In Parliament : ভুয়ো আধার নিয়ে চোখে ধুলো দিয়ে সংসদে '৩ শ্রমিক' ! হাতেনাতে পাকড়াও করল CISF
Parliament Security : অভিযুক্তদের আধার কার্ড দেখাতে বললে, তারা কার্ড বের করে সিআইএসএফ কর্মীদের কাছে জমা করে। তখই কার্ডগুলো দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের।
নয়া দিল্লি : সংসদ ভবন এখন নতুন সরকারের অপেক্ষায়। আর তার আগেই জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। দিল্লিতে এখন সারা দেশের হেভিওয়েট নেতাদের আনাগোনা। জোরকদমে চলছে সরকার গঠনের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সমসদ ভবনের মতো উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা জায়গায় কেন বহিরাগতরা চোকার চেষ্টা করছিল, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত ৩ জনই উত্তরপ্রদেশের শ্রমিক। অভিযুক্ত তিন জনের নাম কাসিম, মনিস এবং সোয়েব। জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে তিন জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে চলছিল সিকিউরিটি চেকিং। সেই সময় সংসদ ভবনের ফ্ল্যাপ গেট এন্ট্রিতে সিআইএসএফ কর্মীরা এই তিনজনকে আটক করে। তারপর এদের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তদের আধার কার্ড দেখাতে বললে, তারা কার্ড বের করে সিআইএসএফ কর্মীদের কাছে জমা করে। তখই কার্ডগুলো দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। কার্ডগুলো ভালোভাবে যাচাই করে দেখা যায়, সেগুলি জাল ! তদন্তে জানা গিয়েছে, এই তিনজনকে কাজে ঢুকিয়েছিল ডি ভি প্রজেক্টস লিমিটেড । সংসদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এমপির লাউঞ্জ নির্মাণে নিযুক্ত ছিল তারা।
তিন অভিযুক্তকে সিআইএসএফ কর্মীরাই দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ধারা (জালিয়াতি),৪১৯ ধারা (প্রতারণা), ১২০ বি ( অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) সহ বিভিন্ন ধারায় তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। বর্তমানে সিআরপিএফ এবং দিল্লি পুলিশের বদলে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ ।
সূত্রের খবর, দুটি আধার কার্ডে নম্বর একই। অথচ ছবি আলাদা ! আর তাতেই তিন সন্দেহভাজন শ্রমিকের সংসদ ভবন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় । এমনই দাবি করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের FIR-এ। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কাশিম, মনিস ও সয়াব নামের তিন সন্দেহভাজন শ্রমিককে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তিনজন শ্রমিকই ক্যাজুয়াল এন্ট্রি পাস দেখিয়ে চৌঠা জুন বিকেলে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন শ্রমিকই এক ঠিকাদারের আওতায় কাজ করছিলেন। দিল্লি পুলিশের FIR অনুযায়ী, কাশিম ও মনিসের জমা দেওয়া আধারকার্ডের নম্বর একই। কিন্তু ছবি আলাদা। গোয়েন্দাদের অনুমান, উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা মনিসের আধারকার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো আধারকার্ড বানিয়েছেন কাশিম। আরেক অভিযুক্ত সোয়েবের পরিচয়পত্রে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের সাহাপুরের বাসিন্দা বলে দাবি করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে