PM Modi in China : ৭ বছর পর চিনে প্রধানমন্ত্রী মোদি, SCO সম্মেলন-জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা; নজরে আর কী ?
India-China Relations: ভারত-চিন সম্পর্ক কোন খাতে এগোচ্ছে সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

বেজিং : নির্ধারিত ছিলই। সাত বছর পর প্রথম চিনে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দিনের এই সফরে SCO সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ১০ সদস্যভুক্ত SCO ব্লকের বাৎসরিক সম্মেলন রয়েছে। এর পাশাপাশি গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্কে যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল, সেই দূরত্ব কাটিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার পর, ভারত-চিন সম্পর্ক কোন খাতে এগোচ্ছে সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। SCO সম্মেলন থেকে কী উঠে আসে সেদিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের।
Prime Minister Narendra Modi arrives in Tianjin, China; receives a warm welcome
— ANI (@ANI) August 30, 2025
He will attend the SCO Summit here. pic.twitter.com/iJpCY6dejN
গালওয়ানে উভয় দেশের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পর কেটে গেছে পাঁচটা বছর। এরমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমীকরণ পাল্টাচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-বৃদ্ধি গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এই আবহে ভারত সফরে এসে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক সেরে নিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং লি। এশিয়ার দুই ক্ষমতাধারী রাষ্ট্রের কাছাকাছি আসাকে একটা মাইলফলক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা SCO সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরকে স্বাগত জানিয়েছে চিন।
কীভাবে সম্পর্কের উন্নতির পথ হল প্রশস্থ ?
চলতি বছরের গোড়ার দিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন চিনের সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের তীব্রতা বাড়াচ্ছে, ঠিক সেই সময় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিন। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পৌঁছায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। এমনই দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে। সূত্র হিসাবে এক ভারতীয় আধিকারিকের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। সেই অনুযায়ী, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে ভারত কতটা আগ্রহী তার পুনর্মূল্যায়নের উদ্দেশে ছিল শি-র চিঠি। যদিও চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে, চিঠির বার্তা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। চিঠিতে, প্রেসিডেন্ট শি চিনের স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে এমন যে কোনও সম্ভাব্য মার্কিন-ভারত চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমনই বলা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এরপর জুন মাস থেকে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে এগোয় প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকার।






















