Behala Violence: বেহালাকাণ্ডে বাবনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ রত্নার
Behala Violence Update: বেহালায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাণ্ডবের পর দেড় দিন পার। এখনও অধরা তাণ্ডবের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা বাবন।
কলকাতা: বেহালার (Behala Violence) চড়কতলাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল (TMC)। ঘটনার পর এখনও আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বাড়িতে গিয়ে নালিশ জানান তাঁরা। এর পর অভিযুক্ত বাবনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বিধায়ক রত্না। তার পরই দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হল।
রত্নার কাছে দরবার স্থানীয়দের
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর এখনও থমথমে বেহালার চড়কতলা। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই নিয়ে সরাসরি রত্নার কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতেই রত্না জানান, অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। এর পরেই তৃণমূল থেকে বাবনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে বেহালা রত্না আত্মসমর্পণ করতে বলায় ক্ষুব্ধ বাবনের পরিবার।
বেহালায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাণ্ডবের পর দেড় দিন পার। এখনও অধরা তাণ্ডবের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা বাবন। বৃহস্পতিবারই সেই নিয়ে রত্নার কাছে হাজির হন স্থানীয়রা। তাতে কোনও রকম রাখঢাক না করেই রত্না বলেন, "বাবনকে বলো ভদ্র হতে। আত্মসমর্পণ করতে। লাল্টুর নাম FIR-এ থাকলে ওকেও তুলবে।"
বেহালাকাণ্ডে এখনও বাবনকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সকালে বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান বাবনের পরিবারের সদস্য এবং অনুগামীরাও। বাবন অনুগামী টুসি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আসল ঘটনাটা কেউ বলছে না। বাবন দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে। যখন অশান্তি হয়েছে, দাদা সেখানে ছিলই না।" এর পর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যান বাবনের অনুগামীরা।
এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত
সেখানেই শুরু হয়ে যায় একপ্রস্থ তর্কাতর্কি। রত্না বলেন, "আমি রাত্রিবেলায় বাবনকে ফোন করেছি। বাবন প্রথমবার ফোন হল। দ্বিতীয়বার ফোন অফ করে দিল। ননাইকে ফোন করেছি, ননাই ফোন তুলল না।" রত্না আরও বলেন, "আমার পরিষ্কার বক্তব্য হল, আইনের পথে চলবে। বিষয়টি আইনে চলে গিয়েছে। বেহালা থানার কাছে এটা আছে। ডায়রেক্ট সিএম কেস হাতে নিয়ে নিয়েছেন। সিএম পুরোটা জানেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোটা জানেন।" দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু হবে না, বাবনকে অত্মসমর্পণ করতে হবে বলে সেখানেই জানিয়ে দেন রত্না।
মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে বারোটা পর্যন্ত, আড়াই ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। বেহালা থানা থেকে চড়কতলার দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। এলাকাটি কলকাতা পুলিশের সাউথ-ওয়েস্ট ডিভিশনের মধ্যে পড়ে। সাউথ-ওয়েস্ট ডিভিশনের DC টালিগঞ্জে বসেন। সেখান থেকে চড়কতলার দূরত্ব প্রায় ৩ কিমি। এলাকায় চার CCTV-র ক্যামেরার মধ্যে তিনটি ভেঙে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ন'জন গ্রেফতার হলেও অধরা বাবন।