Galsi TMC Leader Video: টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক? ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন বিজেপি-র, পাল্টা জবাব নেপাল ঘোড়ুইয়ের
Nepal Ghorui Viral Video: ওই ভিডিও ঘিরে তরজা চরমে।

গলসি: তৃণমূল বিধায়কের টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল এবার। বিজেপি-র তরফে সেই নিয়ে পোস্ট করা হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। গলসির তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইকে টাকার লেনদেন করতে দেখা গিয়েছে ভিডিও-য়। আরও দুই তৃণমূল নেতার কাছ থেকেই টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও বিধায়কের দাবি, ভিডিওটি অনেক পুরনো। ভোটের খরচের টাকা দেওয়া-নেওয়া হচ্ছিল। তবে ওই ভিডিও ঘিরে তরজা চরমে। (Galsi TMC Leader Video)
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একটি ঘরে বসে রয়েছেন নেপাল। তাঁর সামনে টেবিলে টাকা রাখছেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পার্থ মণ্ডল। তাঁর পাশে বসে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায়। কীসের টাকা দেওয়া হচ্ছে নেপালকে, কেন এই লেনদেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা রমণ শর্মা। (Nepal Ghorui Viral Video)
ভিডিওটি নিয়ে রমণ প্রশ্ন তোলেন, "জ্বলজ্বল করে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে...মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সেখানে আর্থিক লেনদেন চলছে। মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় এগিয়ে বাংলা। মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। ছবি যখন কথা বলে, তখন আর বলার কিছু মানে থাকে না। গলসি বিধানসভার বিধায়ক পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।"
এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ব্যাখ্য়া পেশ করেছেন নেপাল। তাঁর দাবি, ভিডিওটি আগের পুরনো ভিডিও। তাঁর বক্তব্য, "টাকা ভাগাভাগির কিছু নেই। ২০২৪ সালে যে নির্বাচন গেল লোকসভার, সেই উপলক্ষে বড় বড় প্রোগ্রাম হয়। বাস আনতে হয়, প্যান্ডেল, মাইকের টাকা। লোকজন আনার যানবাহনের টাকা, কে কোন খাতে পাবে, তা নিয়ে হিসেবে বসেছিলাম। টাকা ভাগাভাগির কথা যে বিজেপি বলছে...তৃণমূলকে বদনাম করতে এসব করছে। নতুন কিছু নেই ওদের কাছে। এক থেকে দুই লক্ষ টাকার হিসেব নিকেশের ব্যাপার। বেশিরভাগ পেমেন্ট আমাদের চেকের মাধ্যমে হয়। ছোট ছোট পেমেন্ট আলোচনা করে, করা হয়। সেই আলোচনাই হচ্ছিল।"
এ নিয়ে মুখ খুলেছেন অনুপও। তাঁর কথায়, "লোকসভা নির্বাচনের আগে বুদবুদে সভা ছিল। বাস বুকের জন্য পার্থ মণ্ডলকে টাকা দিচ্ছিলাম। কারা পোস্ট করে দিয়েছে। পুরনো ভিডিও। আমাদেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ওটা লিক হয়েছিল। আমার কাছেও আছে ওই ভিডিও। বিধায়ক যাতে ভোটে দাঁড়াতে না পারেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বিজেপি-কে দিয়ে এটা করানো হয়েছে। দলেরই লোক যুক্ত। পিছনে জাকির হোসেন আছে। নাম করে বলে দিচ্ছি, যাতে বিধায়ক টিকিট না পান।"
পার্থসারথি বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় সভা হয়েছিল। যে যা খরচ করেছিলাম, বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যে বিজেপি নেতা ওটা পোস্ট করেছেন, সিসি ক্যামেরায় তারিখটা দেখা হোক। এরকম করে তৃণমূলকে বা নেত্রীকে কালিমালিপ্ত করে গলসি দখল করা যাবে না। বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন, তার কাছে বিজেপি অলরেডি হেরে গিয়েছে। দিবাস্বপ্ন দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে।"























