Mamata Campaigning Ban : ‘গোটা নির্বাচনে যাতে কথা না বলতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত’ বললেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়
গেরুয়া শিবিরের তরফে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগ করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনে।
কলকাতা : ‘উনি যেন গোটা নির্বাচনে কথা না বলতে পারেন, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা করা উচিত।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের তরফে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগ করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনে।
সোমবার রাতে বিজ্ঞতি জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত রয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে টুইট করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। ট্যুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, 'ভারতের নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামীকাল দুপুর ১২ টা থেকে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছি।'
নির্বাচন কমিশনের জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '' আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানাচ্ছি। উনি যাতে গোটা নির্বাচনে কথা না বলতে পারে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। উনি নিজের হারের বিষয়টা বুঝে গেছেন। তাই এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। উনি কত মায়ের কোল যে খালি করে দেবেন তার ঠিক নেই। উনি পরিকল্পনা করে নির্বাচনের সময় এই অশান্তি করাচ্ছেন। একবারও বলেননি, বাংলায় শান্তিতে নির্বাচন হোক। তাঁর গদি ধরে রাখার জন্য তিনি কত নীচে নামতে পারেন, শীতলকুচি তার জ্বলন্ত উদাহরণ।''
সংখ্যালঘু ভোট ভাগ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে তার মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দিয়েছিল। কিন্তু তার যে উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয় বলেই জানানো হচ্ছে কমিশনের তরফে। কমিশন বলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিন্দাজনক। সাত তারিখের সভায় সিআরপিএফ-কে ঘেরাও করা নিয়ে যে মন্তব্য মমতা করেছিলেন, তার নিন্দা করেছে কমিশন। এ ব্যাপারে যে নোটিশের যে জবাব মমতা দিয়েছেন, তাতে কমিশন সন্তুষ্ট নয়।
আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগের নোটিশের যে জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন সে ব্যাপারে কমিশন বলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি, সেইসঙ্গে ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ (৩) ও ৩ এ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ১৮৯ ও ৫০৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পক্ষে ক্ষতিকারক এবং তা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার সামিল।