Left Front Congress Alliance Brigade Kolkata Rally ব্যাটল গ্রাউন্ড ব্রিগেড, রাজনৈতিক মহলের নজর বাম-কংগ্রেসের সভার দিকে
২০১৯-এ ব্রিগেডে এলেও গাড়ি থেকে নামতে পারেননি বুদ্ধদের ভট্টাচার্য। নাকে ছিল অক্সিজেনের নল। এবার সেই অনুমতিও দিতে রাজি নন চিকিৎসকরা। সিপিএম সূত্রে খবর, চেষ্টা চলছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অডিও বার্তা ব্রিগেডে শোনানোর।
কলকাতা: আজ বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেড। দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাম-কংগ্রেসের নেতারা। ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্তরের জেলা থেকে আসতে শুরু করছেন কর্মী-সমর্থকরা। এই প্রথমবার বাম-কংগ্রেসের যৌথ সমাবেশের সাক্ষী থাকতে চলেছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। ব্যাটল গ্রাউন্ড ব্রিগেড থেকে বাম-কংগ্রেস জোট কতটা শক্তি জোগাতে পারে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
ভিক্টোরিয়ার দিকে, তৈরি হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট। প্রস্থ ২৪ ফুট। উচ্চতা ১৮ ফুট।
কখনও সিপিএম, কখনও আবার বামফ্রন্ট, গত কয়েক দশকে বামপন্থীদের একাধিক জনসভার সাক্ষী থেকে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে, পার্ক সার্কাস ময়দানে যৌথ সভা করেছিল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে, রবিবার প্রথম বাম-কংগ্রেসের যৌথ সমাবেশের সাক্ষী থাকতে চলেছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড! চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যে প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এবারের ব্রিগেডে নতুন মাত্রা যোগ হল। তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী অনেকগুলি শক্তি একসঙ্গে আসছে।’ ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্তরের জেলা থেকে আসতে শুরু করছেন কর্মী-সমর্থকরা। সকাল থেকেই জেলায় জেলায় একই ছবি। গতকাল রাতেই যারা এসে পড়েছিলেন, তাদের তাঁদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে দুটি শিবির। মেনুতে ছিল বাড়িতে তৈরি করা রুটি, আলুর দম ও লাড্ডু।
এদিকে, ২০১৯-এ ব্রিগেডে এলেও গাড়ি থেকে নামতে পারেননি বুদ্ধদের ভট্টাচার্য। নাকে ছিল অক্সিজেনের নল। এবার সেই অনুমতিও দিতে রাজি নন চিকিৎসকরা। সিপিএম সূত্রে খবর, চেষ্টা চলছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অডিও বার্তা ব্রিগেডে শোনানোর। তবে, সেটাও যদি না হয়, তাহলে লিখিত বার্তা পাঠাতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিগেড সমাবেশের আগে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একসময় মানুষ ব্রিগেডে ভিড় করত যাঁর বক্তৃতা শুনতে, তাঁর কথায় ধরা পড়েছে সশরীরে সমাবেশে না থাকতে পারার যন্ত্রণা।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দী যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।