এক্সপ্লোর
Advertisement
এনআরসি-সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব কেন নেই, প্রশ্ন তুললেন প্রশান্ত কিশোর
রাহুলের অনুপস্থিতিতে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী দলের তরফে মাঠে নামলেও ১১ ডিসেম্বরের রামলীলা ময়দানের সমাবেশের পর থেকে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে তেমন চোখে পড়ছে না।
নয়াদিল্লি: জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের। কংগ্রেস দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর গতকালের একটি বিবৃতি ট্যুইট করেছে যাতে তিনি এই দুই ইস্যুতে বিজেপি, কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। সনিয়ার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কিত দুই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তাঁদের সামিল হওয়ার আবেদন করে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সহ সভাপতি ও ভোটের কৌশল নির্ধারণে দক্ষ স্ট্র্যাটেজিস্ট বলে পরিচিত কিশোর ট্যুইট করেছেন, সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে নাগরিকদের লড়াইয়ে রাস্তায় নেই কংগ্রেস। তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব মোটের ওপর সেখানে অনুপস্থিত। যেসব মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের রাজ্যে এনআরসি করতে দেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন, অন্তত তাঁদের পাশে সব কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের দাঁড় করাতে পারেন আপনারা। নয়তো এসব কথা অর্থহীন।
Congress is not on streets and its top leadership has been largely absent in the citizens’ fight against CAA-NRC
The least party could do it to make ALL Congress CMs join other CMs who have said that they will not allow NRC in their states. Or else these statements means nothing https://t.co/EWJLyc3kgR
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 21, 2019
নাম না করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও বাকি শীর্ষ নেতানেত্রীরা কেন প্রতিবাদ সমাবেশে গরহাজির, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠার পরদিন গত সোমবার সকালে রাহুল দক্ষিণ কোরিয়া সফরে বেরিয়ে যান। রাহুলের অনুপস্থিতিতে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী দলের তরফে মাঠে নামলেও ১১ ডিসেম্বরের রামলীলা ময়দানের সমাবেশের পর থেকে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে তেমন চোখে পড়ছে না। মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কা প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে ইন্ডিয়া গেটের সভায় হাজির ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায়ও যোগ দেন।
এর আগে কিশোর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারকেও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) সমর্থনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। এমনকী দলের সিএবি সমর্থনের পরও তিনি ট্যুইট করেন, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য সৃষ্টিকারী বিলে জেডি (ইউ) সায় দেওয়ায় হতাশ। দলের সংবিধানের প্রথম পৃষ্ঠায় তিনবার ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা রয়েছে। দলীয় নেতৃত্বও গাঁধীবাদী দর্শন মেনে চলার শপথ নেয়। এই বিল সেই সংবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement