Narendra Modi : 'রেস্তোরাঁর মতোই চাকরির জন্য রেট কার্ড',পুর-নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নাম না করে মমতাকে আক্রমণে মোদি
নরেন্দ্র মোদি চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, 'দেশের এক রাজ্যের ক্যাশ ফর জব এখন আলোচনায়। দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে যা খুব চিন্তার বিষয়।'
নয়াদিল্লি : নিয়োগে 'দুর্নীতি'র অভিযোগ, তদন্তে সরগরম বঙ্গ। আর দিল্লিতে যে ইস্যুতে নাম না করে নরেন্দ্র মোদির নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার। পুরসভায় চাকরির জন্য রেট কার্ডের উল্লেখ করে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
রোজগার মেলায়- বঙ্গে পুরসভায় গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি-পদে চাকরিতে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ শানিয়ে মোদির আক্রমণ 'রেস্তোরাঁর মতোই চাকরির জন্য রেট কার্ড হতে পারে? পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চাকরির নামে লুঠ করছে যুব সম্প্রদায়কে'। যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে চাকরির রেট কার্ড।দেশের মানুষ ঠিক করবে কি চান, রেট কার্ড না, সেফ গার্ড।'
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, 'দেশের এক রাজ্যের ক্যাশ ফর জব এখন আলোচনায়। দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে যা খুব চিন্তার বিষয়। সরকারি চাকরি করতে গেলেই টাকা দিতে হয়! তাও কীরকম পদের জন্য। ড্রাইভার থেকে শুরু করে নার্স, গরিবদের লুঠ করা হয়েছে। লুঠ, কাটমানির কারবার চললে দেশের মানুষ কোথায় যাবে?'
প্রধানমন্ত্রীর যে আক্রমণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যে এমন কোনও রেট কার্ড নেই বলেই পাল্টা মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যে রাজ্যের বর্তমান অবস্থার জেরে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি হওয়ার আশঙ্কার প্রতিফলনই ঘটেছে বলেই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুরসভায় নিয়োগেও দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে পুরসভায় দেদার চাকরি বিক্রির 'রেট কার্ড'। যেখানে উঠে আসে, পুরসভায় শ্রমিকের চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা!' । 'পুরসভায় গাড়ির চালকের (Driver) চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা!'।'পুরসভার সাফাইকর্মীর চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা!' । 'পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা!' । 'পুরসভার গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা!'। 'পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির দাম ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু'। পুর নিয়োগ যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে চলছে মামলা। সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে জারি রাজনৈতিক তরজাও।
আরও পড়ুন-এবছরের মধ্যেই ১০ লাখের চাকরি? রোজগার মেলায় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র বিলোলেন মোদি