(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিবাদ, মামলা রুজু হেয়ার স্ট্রিট থানায়
১৪৪ ধারা ভেঙে প্রতিবাদ করায় এই মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও মামলা দায়ের করা হয়।
কলকাতা: রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিবাদের জেরে এবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু করা হল। ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রতিবাদ করায় এই মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই উদ্বেগপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপি-র কাছে করেন রিপোর্ট তলব করেন জগদীপ ধনকড়।
ঠিক কী ঘটেছিল? রাজভবনের সামনে একপাল ভেড়া নিয়ে মঙ্গলবার প্রতিবাদ শুরু করেন এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে দিল পুলিশ। কটাক্ষ তৃণমূলেরও। পাল্টা ট্যুইট করে ভোটপরবর্তী অশান্তির ঘটনায় পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন জগদীপ ধনকড়।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে সোমবার রাজভবন পর্যন্ত পৌঁছে গেছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। আর মঙ্গলবার ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়। পরনে সাদা পঞ্জাবি, জিন্স। পায়ে চামড়ার জুতো। সঙ্গে একপাল ভেড়া।
মঙ্গলবার দুপুরে এভাবেই একজনের দেখা মেলে রাজভবনের গেটের সামনে। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম সুমন মিত্র। সিটিজেন্স এগেনস্ট ডার্টি পলিটিক্স অ্যান্ড করাপশন নামে এক সংগঠনের সদস্য। তাঁর দাবি, রাজ্যপালের ভূমিকার প্রতিবাদ জানাতেই এই অভিনব প্রতিবাদ। সিটিজেন্স এগেনস্ট ডার্টি পলিটিক্স অ্যান্ড করাপশন সদস্য সুমন মিত্র বলেন, রাজ্যপাল না ভেড়ার পাল। ভেড়ার যেখানে জায়গা সেখানে নিয়ে এসেছি। অতিমারী চলছে। এরমধ্যে যে নোংরামি হল গতকাল, যে চুরি করেছে তার শাস্তি হোক।
যদিও, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাজভবনের মেন গেটের সামনে থেকে এই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর গতকাল, রিপোর্ট চেয়ে আজ বিকেল ৫টায় পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠান তিনি রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড়ের ট্যুইটারে লেখেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনের প্রধান ফটকের সামনে যে কেউ চলে আসছে। পুলিশের ভূমিকা উদ্বেগজনক। রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে একপাল ভেড়া নিয়ে হাজির হয় একটি লোক। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছিল। ওই ব্যক্তিকে সরানোর কোনও চেষ্টা করা হয়নি। তার কাছে কোনও অস্ত্র আছে কি না তাও জানার চেষ্টা হয়নি। এইসমস্ত ঘটনায় রাজ্যপাল ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ ধরনের ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে আজ বিকেল ৫টায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছি। ট্যুইটে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।